কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গরু লুটের মামলা

বিচারক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মুলাদী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2024, 02:08 PM
Updated : 24 Feb 2024, 02:08 PM

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও গরু লুটের অভিযোগে বরিশাল আদালতে মামলা হয়েছে।

বরিশালের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের বাসিন্দা নান্নু হাওলাদার। 

বিচারক সুমাইয়া রিজভী মৌরি নালিশি মামলা হিসেবে রুজু করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য মুলাদী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফেরদৌস আলম জানান।

এ বিষয়ে মুলাদী থানার ওসি মো. জাকারিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালতের এ ধরনের কোনো আদেশ এখনও আসেনি। আদেশ পেলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।

বিবাদীরা হলেন- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান, তার ভাই ওহিদুজ্জামান বিপ্লব, তৌহিদুজ্জামান, নুরুজ্জামান ও খালেকুজ্জামান।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামানসহ তার ভাইয়েরা বাদীর জমি দখল করেছেন। দখল ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১টার দিকে আসাদুজ্জামান ও তার ভাইসহ ৮-১০ জন দা, শাবল, হাতবোমা নিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে এবং ঘর ভাঙচুর করে। বাদীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে হামলাকারীরা চার-পাঁচটি হাতবোমার বিস্ফোরণ করে একটি গাভি ও একটি বাছুর নিয়ে যায়।

বিবাদী ওহিদুজ্জামান বিপ্লব বলেন, “আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে শুনেছি। যা হাস্যকর। আমার কেউ গ্রামে থাকি না। ২ ফেব্রুয়ারি তাদের বাড়ি লুট হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আমাদের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা মামলা করেছি। এর পাল্টা হিসেবে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রতিপক্ষ।”

তিনি বলেন, টুমচর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষ বিভক্ত হয়ে খুনাখুনি, হামলা, মামলা ও লুটসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে।

“গ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বরিশাল, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলা পুলিশ নিয়ে একটি শান্তি সমাবেশ করা হয়। এ কারণে যারা লুটপাট ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে ফায়দা লুটতে পারছে না; তারাই আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং মালামাল লুট করেছে।”

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান বলেন, “আমি বিভিন্ন সময় গ্রামের বাড়িতে গেলে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করি। এতে কিছু দুষ্কৃতকারী ফায়দা নেওয়ার সুযোগ বঞ্চিত হয়। তারা লোকজনকে প্ররোচিত করে আমার গ্রামের বাড়িতে হামলা, লুট ও অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন শুনতে পাচ্ছি, তারা মামলাও করেছে।”

তিনি বলেন, “আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। তা নাহলে একটি সমাজ শেষ হয়ে যাবে।”