দৌলতপুরের ওসি বলেন, “লোক মুখে জানতে পেরেছি যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে ছোটখাট সংঘর্ষ হয়েছে।”
Published : 05 Sep 2024, 12:32 AM
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বৈঠকের সময় বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারামারিতে আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা বাজার চত্বরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান।
বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত সময়ে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে। এখানকার সব অবৈধ লেনদেন আওয়ামী লীগ নেতা, কার্যালয়ের অসৎ কর্মকর্তা ও দলিল লেখকরা নিয়ন্ত্রণ করতেন।
৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতারা গা ঢাকা দেন। তখন বিএনপির নেতারা কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন এবং দলিল প্রতি চাঁদা আদায় করেন। তখন অন্য একটি পক্ষ তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়।
দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবাল কর্নেল অভিযোগ করে বলেন, “উপজেলা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কতিপয় নেতাকর্মী এই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। আমার বাবা দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আকবর আলীর নাম ভাঙ্গিয়ে এই চাঁদাবাজি করা হচ্ছিল। এ কারণে আমরা এর প্রতিবাদ করি।”
পরে বিষয়টি উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অবহিত করা হয়। তারা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ দেন।
সেই অনুযায়ী, সকালে দৌলতপুর উপজেলা বাজারে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ে বৈঠকে বসে উভয় পক্ষ। তখন উভয় পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়ায়; পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
যুবদল নেতা কর্নেলের অভিযোগ, “উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান রুবেলের নেতৃত্বে মিলন, হিমেলসহ ২০-২৫ জন আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে।”
হামলায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী, জাফর ইকবাল কর্নেল (৩২), মাসুদ পারভেজ (২৪), কৌশিক (২০) ও রতন (২২) সহ আটজন আহত হন। এর মধ্যে কর্নেল, মাসুদ পারভেজ, কৌশিক ও রতনকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জাফর ইকবাল এ ঘটনায় দলীয় হাইকমান্ডের কাছে বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান রুবেলের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, “লোক মুখে জানতে পেরেছি যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে ছোটখাট সংঘর্ষ হয়েছে। তবে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেননি।”
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে ওসি জানান।