যৌথবাহিনীর সহায়তায় বেশকিছু অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়।
Published : 10 Apr 2025, 11:43 AM
ছাত্র-জনতার তোপের মুখে ৫ অগাস্ট জীবন রক্ষার্থে পুলিশ পালিয়ে যাওয়ার পর কয়েকশ লোক সাভার মডেল থানায় ঢুকে ব্যাপক লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
তারা থানার অস্ত্রাগার ভেঙে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, গ্রেনেডসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নিয়ে যায়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় থানা ভবনসহ কর্মকর্তাদের কার্যালয়।
এরপর যৌথ বাহিনীর সহায়তায় বেশকিছু অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়। তবে ১২টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা বলেন, “৫ অগাস্ট লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ১২টি এখনও উদ্ধার হয়নি। যার মধ্যে একটি করে চীনা রাইফেল, এসএমজি ও শটগান, ছয়টি গ্যাস গান ও তিনটি পিস্তল রয়েছে। এর মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের একটি পিস্তলও রয়েছে।”
আট মাসেও উদ্ধার না হওয়ায় অস্ত্রগুলো দিয়ে ছিনতাই-ডাকাতি এমনকি খুনের মত ঘটনাও ঘটতে পারে।
লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র যত দিন দুষ্কৃতকারীদের কাছে থাকবে ততদিনই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির বলেন, “৫ অগাস্ট থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
তবে তিনি ধারণা করছেন, অস্ত্রগুলো কোনো নদী, পুকুর বা জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানে বিতর্কিত ভূমিকার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ৫ অগাস্ট দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা চালায় ছাত্র-জনতা। এই সুযোগে থানায় ঢুকে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ লুটপাট চালায় দুষ্কৃতকারীরা।
অস্ত্র উদ্ধারে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় যৌথ বাহিনীর অভিযান।
কোথাও কোথাও পরিত্যক্ত অবস্থায় ও অনেকে যৌথ বাহিনীর কাছে অস্ত্র-গুলি জমা দিলেও সাভার মডেল থানার ১২টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
এদিকে, সম্প্রতি এক নারী ফেইসবুক লাইভে এসে দাবি করেন, সাভার মডেল থানার দুটি পিস্তল এক ব্যক্তির কাছে রয়েছে। তিনি একসময় থানায় কাজ করতেন। ওই ব্যক্তির বাড়ি পিরোজপুরে। সেই ব্যক্তি এখন এসব অস্ত্র দিয়ে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন।
ফেইসবুকে ওই ব্যক্তির ছবি পোস্ট করে লুটের অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান ওই নারী। তিনি দাবি করেন, তার বাড়িও একই এলাকায়।
তবে ওই ব্যক্তি মোবাইল ফোনে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বিষয়টি সাভার থানার নজরেও এসেছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা বলেন, “বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি।”