ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে: হাইওয়ে পুলিশ প্রধান

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান।

ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ড্রোন ও সিসিটিভি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সড়কে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

ঈদ উপলক্ষে সড়কে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শাহাবুদ্দিন খান বলেন, “চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়ক থেকে নির্মাণসামগ্রী অপসারণ করা হয়েছে। সড়কে যেখানে ঘেরা ছিল, সেগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে এবং আরও কিছু করা হবে।

“এবারের ঈদযাত্রায় গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত এবং নবীনগর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত সড়কের মানোন্নয়ন ও নির্মাণ কাজ চলছে। ইতিমধ্যে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কয়েক দফায় কথা হয়েছে।”

নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও ঈদের আগ পর্যন্ত তারা মহাসড়ক যে অবস্থায় রাখবেন তাতে ঈদযাত্রায় কোনো বাধা হবে না বলে জানান তিনি।

অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, “ঈদযাত্রা হয়ত আজকে থেকেই শুরু হবে, কাল-পরশু থেকে আরও বাড়বে। আগামী ৬ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত কর্মমুখী মানুষদের ব্যাপক হারে সড়কে দেখতে পাব। সেক্ষেত্রে আমাদের সড়ক প্রস্তুত রয়েছে।

“জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাসহ জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ নিয়ে সার্বিকভাবে সড়ক-মহাসড়ক পরিদর্শন করছি। প্রস্তুতিকে আমরা রিভিউ করে নিচ্ছি, যাতে করে ঘরমুখো মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঘরে ফিরে আবার ঈদের পর কাজে ফিরতে পারেন।”

মহাসড়কে যানজট প্রসঙ্গে শাহাবুদ্দিন খান বলেন, “নবীনগর-চন্দ্রা ও চন্দ্রা-মির্জাপুর সড়ক দিয়ে লাখো মানুষ বাড়ি ফিরবে। এই সড়কের যে স্থান থেকে যাত্রী সাধারণ গাড়িতে উঠবেন, সেসব স্থানে যানবাহন এমন করে না রাখি যাতে যানজটের সৃষ্টি হয়।”

যানজট হয় এমন স্থান থেকে গাড়িতে না উঠতে যাত্রী সাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

অপরাধী চক্রের ব্যাপারে তিনি বলেন, “ঈদ এলে এক ধরনের অপরাধী চক্র মাথা চাড়া দেয়। বিশেষ করে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীরা তৎপর হয়ে উঠে। বিষয়টি মাথায় রেখে এক মাস আগে থেকেই অপরাধ প্রবন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনেককে ধরা হয়েছে।

“এ ব্যাপারে সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। এই ধরনের অপরাধী থেকে যাত্রী সাধারণকে সচেতন থাকতে হবে। কোনো ধরনের আলামত কিংবা সন্দেহ হলে আমরা যেন ৯৯৯ এ কল দেই।”

এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান।

এ সময় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি শ্যামল কুমার মুখার্জী, গাজীপুর রিজিউনের পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান এবং ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি উপস্থিত ছিলেন।