তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব পারভেজ সরকার।
Published : 08 Apr 2025, 05:07 PM
সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের এক শীর্ষ নেতার বহিষ্কার দাবি করেছেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মইনুল হাসান সাদিক।
সোমবার রাতে সাদুল্লাপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন বিএনপি নেতা। তারপরই রাতে তিনি ফেইসবুক লাইভে এসে সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব পারভেজ সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলে তার বহিষ্কার দাবি করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মইনুল হাসান সাদিক বলেন, “ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে জনগণের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। সোমবার রাতে স্থানীয় জনতা তার বহিষ্কারের দাবিতে আমার গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। এ কারণেই সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।”
সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছামছুল হাসান ছামছুল বলেন, “সোমবার বিকালে মইনুল হাসান সাদিক উপজেলার বকশিগঞ্জ এলাকায় একটি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান যোগ দেন। সেখান থেকে সাদুল্লাপুরে ফেরার পথে রাত ৮টার দিকে ঘেগার বাজার এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী তার গাড়ির গতিরোধ করেন।”
তিনি বলেন, “এ সময় তারা মইনুল হাসান সাদিকের কাছে সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের নেতা পারভেজ সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, পারভেজ সরকার এলাকার মানুষকে তুচ্ছ কারণে মারধর করেন। এ ছাড়া এলাকায় নানান অপকর্ম চালাচ্ছেন।
“তার এসব অপকর্ম-অত্যাচারে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। তারা পারভেজকে দল থেকে বহিষ্কার কিংবা তার বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।”
এলাকার বাসিন্দা মইনুল প্রধান বলেন, “এসব বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা বিএনপির নেতাদের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। সর্বশেষ জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিকের কাছেও এ নিয়ে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু তিনিও পারভেজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
“এ কারণে এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে তার গাড়ির গতিরোধ করেন এবং পারভেজের নানা অপকর্মের ফিরিস্তি তার কাছে তুলে ধরেছেন।”
তিনি বলেন, পরে বিএনপি নেতা সাদিক ছাত্রদল নেতা পারভেজকে বহিষ্কার করার আশ্বাস দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
রাতে ফেইসবুক লাইভে এসে জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক বলেন, “সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব পারভেজ সরকারের অপকর্মে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়েছে। এ কারণে আমি কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রদল নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই মুহূর্তে পারভেজকে দল থেকে বহিষ্কার কিংবা অব্যাহতিসহ পুনরায় উপজেলা ছাত্রদলের পুনর্গঠন দাবি করছি।”
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব পারভেজ সরকার। তিনি বলেন, “স্থানীয় একটি মাজার ও ওয়াকফ স্টেটের মোতওয়াল্লি নিয়োগ নিয়ে শহিদুল ইসলাম সরকার এবং মইনুল প্রধানের মধ্যে বিবাদ চলছে। শহিদুল ইসলাম আমার চাচা হয়। এ কারণে মইনুল প্রধান ও তার লোকজন আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন।”