জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত চিঠিতে ২৯ জানুয়ারি সব মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করার কথা বলা হয়েছে।
Published : 29 Jan 2024, 05:46 PM
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কথা থাকলেও কুড়িগ্রামে মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলার নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ। তবে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, সোমবার সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১২ দিন থেকে জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকছে। এ মাসের শেষ দিন পর্যন্ত তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তারপর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন বলেন, “সরকারের জারিকৃত নির্দেশনা মোতাবেক তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় গত ১৮জানুয়ারি থেকে জেলার সব পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়। এখনও তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির সেলসিয়াসের নিচে তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।”
কিন্তু জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৯ জানুয়ারি (সোমবার) জেলার সব কয়টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, “তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে গত ১৮ জানুয়ারি থেকে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাপমাত্রা কম থাকলেও গত দুইদিন ধরে সকাল ৮টার পর থেকে সূর্যের আলো দেখা এবং উত্তাপ থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে স্কুল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এ ব্যাপারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া জানান, তীব্র ঠান্ডার কারণে স্কুল বন্ধ ছিল। ঠান্ডা কমে যাওয়ায় স্কুল খুলেছে। ঠান্ডা আছে তবে কুয়াশার নেই; তাই স্কুলে আসতে সমস্যা হয়নি।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঠান্ডা আছে তবে কমেছে কুয়াশা। বিদ্যালয় খোলার নির্দেশনা পেয়ে সন্তানদের তারা নিয়ে এসেছেন বিদ্যালয়ে। সরকারি নির্দেশনা মানতে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশীদ জানান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম।