গাজীপুরে ভাঙচুর-আগুন: তিন মামলায় আসামি ৫ হাজার, গ্রেপ্তার ৩৭

তিন মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।

বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের আন্দোলনের সময় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কাশিমপুর থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কাশিমপুর থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান।

পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ হওয়া ১৬টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা বুধবার চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর, একটি ট্রাক ও তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেন। তারা স্থানীয় গ্রামীণ ফেব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

এসব ঘটনায় গ্রামীণ ফেব্রিকস কারখানার পক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে কাশিমপুর থানায় একটি মামলা করেন কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) তরিকুল ইসলাম।

বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন বাসের মালিক হাবিবুল্লাহ আকন্দ।

এ মামলায় শুক্রবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে গাজীপুর মহানগর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা ও দায়িত্বপালনে বাধা দেওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ হাজার জনকে আসামি করে শিল্প পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম একই দিন একই থানায় আরও একটি মামলা করেছেন।

গাজীপুর মহানগরীর সারোবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা কাজ করেন। কারখানাগুলোর মালিক সালমান এফ রহমান বর্তমানে কারাগারে আছেন।

গত কয়েক মাস ধরে এসব কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

এজন্য বকেয়া পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকরা বেশ কয়েকদফা আন্দোলনে নেমে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে সরকার ঋণ দিয়ে শ্রমিকদের আংশিক বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করে।

গত ১৫ ডিসেম্বর এক সভায় সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ ১৬ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বুধবার বিকালে বিক্ষোভ ও চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। তারা অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর ও একটি ট্রাক, তিনটি বাস ও গ্রামীণ ফেব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় অগ্নিসংযোগ করেন।

আরো পড়ুন:

বেক্সিমকোর কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর

বেক্সিমকোর ১৬ কারখানা চালুর দাবিতে গাজীপুরে গণসমাবেশ

বেক্সিমকোর কারখানা খোলার দাবিতে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন

বিক্ষোভে না আসায় গাজীপুরে পোশাক কারখানায় হামলা-ভাঙচুর