পঞ্চগড়ে চাহিদার দেড় গুণ পশু, বিক্রি নিয়ে শঙ্কা

এবার ঈদুল আজহায় পঞ্চগড়ে চাহিদার চেয়ে দেড় গুণ বেশি গবাদিপশু প্রস্তুত হওয়ায় খামারিরা বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2022, 02:22 PM
Updated : 6 July 2022, 02:22 PM

জেলার বাইরে থেকে ‘ব্যাপারিরা না আসায়’ বড় গরু বিক্রি নিয়ে আরেক দুশ্চিন্তা হাজির হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা।

সব মিলিয়ে এবার প্রায় অর্ধলক্ষ পশু অবিক্রিত বা উদ্বৃত্ত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই বলেন, পঞ্চগড়ে কোরবানির জন্য প্রায় ৯০ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে উৎপাদিত হয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।

সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ঠেকরপাড়ার খামারি মোকাম্মেল প্রধান এবার কোরবানির জন্য ২০টি গরু প্রস্তুত পালক করেছেন। এখন পর্যন্ত একটাও বিক্রি করতে পারেননি।

তিনি বলেন, “কেউ কেউ কিনতে এলেও কাঙ্ক্ষিত দাম বলেনি।”

তার খামারের সবচেয়ে বড় গরুটির ওজন প্রায় ২২ মণ বলে জানান মোকাম্মেল।

তিনি বলেন, “গরুটির পেছনে দৈনিক এক হাজার টাকার বেশি খরচ হয়। ভাল দাম না পেলে লোকসানে পড়ব।”

পশু ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থানীয় ক্রেতারা কোরবানির জন্য মাঝারি আকারের পশু কিনতে বেশি আগ্রহী। ফলে তারা বড় গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। প্রতিবছর ঈদের আগে জেলার বাইরের ব্যাপারিরা খামার থেকে গরু কেনেন। এ বছর তারা না আসায় লোকসানের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

পশুখাদ্যের দাম বেড়ে গেলেও পশুর দাম বাড়েনি বলে জানান সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাইকানীপাড়ার খামারি মনির হোসেন। ভাল দামে বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে তার ভাষ্য।