ভারতে ভ্রমণ ভিসায় ঘুরে আসার মেয়াদ তিন মাস পূর্ণ না হলে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পাসপোর্ট যাত্রীরা।
Published : 02 Jul 2022, 03:38 PM
এ কারণে শত শত ভারতগামী বাংলাদেশি পর্যটক বেনাপোল থেকে ফেরত যাচ্ছেন বলে আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থানার ওসি মোহাম্মদ রাজু জানান।
শনিবার তিনি বলেন, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সকাল থেকে ভ্রমণ ভিসার যাত্রীদের তিন মাস পূর্ণ না হলে ফেরত পাঠাচ্ছে। তবে ব্যবসা, চিকিৎসা ও অন্যান্য ভিসায় পারাপার স্বাভাবিক।
কেন যাত্রীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে জানতে চাইলে ওসি বলেন, “ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ভ্রমণ ভিসায় যারা যাতায়াত করেন, তাদের অধিকাংশই ঘুরতে গিয়ে চিকিৎসা, ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, এসব যাত্রী বিজনেস ও মেডিকেল ভিসায় গেলে বাধা থাকবে না।”
তবে এসব বিষয়ে পেট্রাপোল কর্তৃপক্ষের কোনো লিখিত নির্দেশনা তাদের কাছে নেই বলে জানান ওসি।
ঢাকা থেকে আসা রতন কুমার পেট্রাপোল থেকে ফেরত এসেছেন। তাকে ভারতে যেতে দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, “ভ্রমণ ভিসা নিয়ে দুই মাস আগে ভারত থেকে ঘুরে এসেছি বলে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন আমাকে ঢুকতে দেয়নি। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পেট্রাপোলে গেলে সেখান থেকে আমাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”
মাগুরার কাকলী বালা বলেন, “বেশ কিছু কাজ নিয়ে ভারতে যাচ্ছিলাম। এর আগে ২৮ এপ্রিল ভারতে ঢুকেছিলাম, ফিরেছি ৮ মে। তিন মাস পূর্ণ হয়নি, তাই মাল্টিপল ভিসা থাকলেও ওরা ফিরিয়ে দিয়েছে।”
বেনাপোলের 'রাজা-বাদশা মানিচেঞ্জার' এর মালিক আবুল বাশার বলেন, “এটা ভারতীয় ইমিগ্রেশনের স্বেচ্ছাচারিতা। এতে যাত্রী সাধারণের হয়রানি হয়। হাই কমিশন যেখানে মাল্টিপল ভিসা দিচ্ছে, আবার তাদের চেকপোস্টে এসে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে।“
এ ব্যাপারে শনিবার ভারতীয় হাই কমিশনের কোনো বক্তব্য জানা না গেলেও প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর রোববার সকালে তাদের ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে ওই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করা হয়।
সেখানে বলা হয়, “ভারতীয় হাই কমিশন স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসাধারী বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে সড়ক, রেল বা আকাশপথে ভারতে প্রবেশ-সংক্রান্ত নিয়মনীতিতে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।”
এ ধরনের তথ্য এড়িয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় হাই কমিশন।