রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে মারধরসহ কক্ষছাড়া করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে; পরে প্রাধাক্ষের হস্তক্ষেপে যা মিটমাট হয়।
Published : 24 Jun 2022, 08:16 PM
নবাব আব্দুল লতিফ হলে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে শুরু হওয়া এ ঘটনার শেষ হয় শুক্রবার সকালে।
ভুক্তভোগী মো. মুন্না ইসলাম ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ২৪৮ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র।
মুন্না বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পাঁচ মাস ধরে তিনি হলে অবস্থান করছেন। নিয়ম মেনে প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে এ কক্ষে ওঠেন।
“বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম হোসেনসহ তার কয়েকজন অনুসারী আমার রুমে এসে মাকছুদুল হাসান নামের এক শিক্ষার্থীকে রাখতে বলেন। তখন আমি রাজি না হলে তারা আমাকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু রুম ছাড়তেও না চাইলে ওরা আমার বিছানাসহ অন্যান্য জিনিস ফেলে দেন। এরপর তারা আমাকে গালিগালাজ ও মারধরও করেন।”
বিষয়টি রাতেই প্রাধাক্ষ্যকে জানালে তিনি সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেন বলে জানান মুন্না।
এদিকে মাকছুদুলের ভাষ্য, গত ৬ মাস তিনি ২৩০ কক্ষে অবস্থান করছেন। তারও আবাসিক কার্ড রয়েছে।
“বৃহস্পতিবার রাতে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম হোসেন ও কয়েকজন অনুসারী আমার রুমে এসে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২৪৮ নম্বর [মুন্নার নামে বরাদ্দ] কক্ষে শেয়ার করে থাকতে বলেন এবং আমার রুমে অনাবাসিক এক শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে দেন। আমি ভয় পেয়েছিলাম তখন; তাই কাউকে কিছু জানাইনি।”
বিষয়টি নিয়ে মো. শামীম হোসেন বলেন, ওই কক্ষে (২৪৮) মূলত আরেকজন আবাসিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে থাকার জন্য মুন্নাকে বলা হয়েছিল। কারণ ওই ছেলেটিকেও মানবিক কারণে হলে সিট দিয়েছেন প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু বিছানাপত্র ফেলে দেওয়ার কথা ঠিক নয়। এমনকি মারধর করার অভিযোগও ভিত্তিহীন।”
মাকছুদুল হাসানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তাকে কোনো ভয়-ভীতি দেখানো হয়নি। তার সম্মতিতেই মানবিক কারণে তার কক্ষে অনাবাসিক ওই শিক্ষার্থীকে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
এ ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মুন্নাকে তার কক্ষে [২৪৮] তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরে ২৩০ নম্বর কক্ষের মাকছুদুল হাসানকেও তার কক্ষে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় একটি তদ্ন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”