কুড়িগ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘ভোটের ফল বদলাতে’ এক প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে মেরে আহত করা হয়েছে।
Published : 01 Feb 2022, 07:57 PM
আহত মো. সাখাওয়াত হোসেনকে বাঁচাতে তার ‘মাথার চার জায়গায় ১৫-১৬টি সেলাই দিতে হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন জেলার চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা জুবাইর হোসেন।
সাখাওয়াত হোসেন চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের দীঘলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সোমবার এই হামলার মুখে পড়েন।
অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নের সদস্য প্রার্থী মো. দুলাল হোসেনের বিরুদ্ধে।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের বলেন, “ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। চার ভোটে পরাজিত হন ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মো. দুলাল হোসেন।
“ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দুলাল তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারা লাঠিসোটা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। তারা আমাকে আহত অবস্থায় টেনেহিঁচড়ে তার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ফল পাল্টানোর জন্য আমার ওপর আবারও নির্যাতন চালান তারা।”
পরে চিলমারী থানার সাব এসআই মো. রবীন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে পরাজিত দুলালের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
চিকিৎসক জুবাইর হোসেন বলেন, “রাত পৌনে ১০টার দিকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথায় ফেটে যাওয়া চার জায়গায় ১৫-১৬টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। পরে রোগীর স্বজনদের অনুরোধে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
সদস্য প্রার্থী মো. দুলালল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিলমারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন।
জেলার ঢুষমারা থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, এখনও মামলা হয়নি। মামলা হলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।