উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে এসেছে শীতের আগমন বার্তা। শেষ বিকেলে হালকা কুয়াশার সঙ্গে কাড়ছে শীতের আমেজ। সেই সঙ্গে বাড়ছে গরম কাপড়ের কেনাবেচা। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন পুরনো কাপড়ের বাজারে।
Published : 19 Nov 2021, 11:56 AM
ধনী-গরিব অনেকেই কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে পেয়ে খুশি।
বৃহস্পতিবার জেলা শহরের আইনজীবী সমিতি মার্কেটে জ্যাকেট কিনতে আসেন উলিপুর উপজেলার জনতার হাট এলাকার অটোরিকশা চালক খয়বর মিয়া।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোরে ও সন্ধ্যার পর ঠাণ্ডা লাগে। এখানে ১২০ টাকায় গড়ম জ্যাকেট কিনতে পেরে খুশি হয়েছি। নতুন কিনতে দাম তিন ৩০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা। মানও তেমন ভাল না। এখানে মনের মত একটি জ্যাকেট কম দামে কিনতে পারলাম।”
আইনজীবী সমিতি মার্কেটসহ নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য জেলা শহরে অর্ধশতাধিক দোকানপাট রয়েছে। বিক্রেতারা অন্য জেলাগুলো থেকে পুরনো কাপড় এনে বিক্রি করেন এখানে। আর মানুষ তা কিনতে আসেন বিভিন্ন জায়গা থেকে।
শহরের বকসীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহানা আক্তার তার শিশুমেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন আইনজীবী সমিতি মার্কেটে।
শাহানা বলেন, “২০০ টাকায় মেয়ের জন্য পাঁচ সেট গড়ম কাপড় কিনলাম। নতুন মার্কেটে এই কাপড় কিনলে তিন গুণ বেশি দাম নিত।”
রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশা ইউনিয়নের অচীনগাছ এলাকার মীনা রানী ৩০০ টাকায় বাচ্চাদের জন্য ছয় সেট কাপড় কিনেছেন একই মার্কেট থেকে। কম দামে পছন্দের কাপড় কিনতে পেরে খুশি তিনিও।
কাপড় বিক্রেতারাও কেনাবেচা ভাল হওয়ায় স্বপ্ন বুনছেন শীত ঘিরে।
শহরের নছর উদ্দিন মার্কেটের কাপড় বিক্রেতা হুজুর আলী বলেন, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত তাদের প্রধান মৌসুম। বছরের এই সময়টায় বেশি কেনাবেচা হয়। ফলে বেশি লাভ হয়।
তারা রংপুর ও সৈয়দপুর থেকে পুরনো কাপড়ের গাঁইট কিনে আনেন বলে তিনি জানান।
হুজুর আলী বলেন, প্রতিটি গাঁইট আট থেকে ২০ হাজার টাকায় কিনে আনেন তারা। প্রতিদিন চার থেকে আট হাজার টাকার পুরনো কাপড় বেচতে পারেন তিনি। আর দিন শেষে তাতে লাভ থাকে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা।
ওই মার্কেটের কাপড় বিক্রেতা রোস্তম আলী বলেন, এখন শীত কম থাকায় বেচাকেনা কম। শীত বাড়লে বেচাকেনা বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, তাদের এখানে ২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দামের কাপড় বিক্রি হয়।
“গাঁইট খুললে এখানে সব শ্রেণির মানুষ এসে তাদের পছন্দমত কাপড় কিনে নিয়ে যায়।”