টাঙ্গাইলে রেজা কিবরিয়া-নুরের ওপর ছাত্রলীগের ‘হামলা’

টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছেন নতুন দল গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া এবং সদস্য সচিব নুরুল হক নূরসহ নেতাকর্মীরা।  

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2021, 09:07 AM
Updated : 17 Nov 2021, 09:07 AM

বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এই হামলা চালায় বলে গণঅধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিলুজ্জামানের অভিযোগ।

তিনি বলেন, সকালে তারা টাঙ্গাইলের সন্তোষে যান মওলানা ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে। সেখানেই তারা হামলার মুখে পড়েন।

“বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভাসানীর মাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী দলীয় স্লোগান দিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে রেজা কিবরিয়া ও নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।”

আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা।

শাকিলুজ্জামান বলেন, “কয়েক দফায় দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালানো হয়। প্রায় ৪০ মিনিট পর আমাদের নেতাদের পুলিশের গাড়িতে করে সরিয়ে নেওয়ার সময় ফের হামলা হয়।”

টাঙ্গাইল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন বলেন, “গণঅধিকার পরিষদের নেতারা মওলানা ভাসানীর মাজারের কাছাকাছি গেলে মওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

“একপর্যায়ে কিবরিয়া ও নূরসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।”

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল বলেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ‘সরকারবিরোধী’ শ্লোগান দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার প্রতিবাদ করেন।

“প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের ওপর হামলা চালান। তখন আমরা পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে।”

ঘটনার পর থেকে ভাসানীর সমাধি এলাকায় উত্তেজনা চলছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে আছেন।

তবে বর্তমানে পরিস্থিতি ‘পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে’ বলে দাবি করেছেন ওসি মীর মোশারফ হোসেন।

গণফোরামের সাবেক নেতা রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সাবেক সভাপতি নুরুল হক নূরকে সদস্য সচিব করে গত ১৭ নভেম্বর ‘বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ’ নামে এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

প্রাথমিকভাবে পরিষদের গঠিত ৮৩ সদেস্যর আহ্বায়ক কমিটির সবাই নূরের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের বর্তমান ও সাবেক নেতা।