কক্সবাজার কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় শ্রমিক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম সিকদারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ছাত্র শিবিরের এক সাবেক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
Published : 12 Nov 2021, 02:45 PM
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কক্সবাজার শহরে চাউল বাজার এলাকা থেকে ইমাম খাইরকে (৩৭) তারা গ্রেপ্তার করেন।
ইমাম কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ফুলছড়ি এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে।
তিনি ছাত্র শিবিরের কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং কক্সবাজার শহর শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এবং কক্সবাজার নিউজের বার্তা সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন খাইর।
নিহত জহিরুল ইসলাম সিকদার (৫৩) কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্সিণ মুহুরী পাড়ার জামাল আহমদ সিকদারের ছেলে এবং জাতীয় শ্রমিক লীগ কক্সবাজার জেলা সভাপতি ছিলেন।
শুক্রবার রাতে দুই ভাই কুদরত উল্লাহ সিকদার ও জহিরুল ইসলাম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নির্বাচনী আলাপ করছিলেন। এ সময় একদল লোক মোটরসাইলে এসে তাদের গুলি করে ও কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কুদরত উল্লাহর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই দিন রাতেই তাকে চট্টগ্রাম পাঠানো হয়। শনিবার সকালে জহিরুল ইসলামের অবস্থাও আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকেও চট্টগ্রাম পাঠানো হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
কুদরত উল্লাহ সিকদার ঝিংলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে জয় পেয়েছেন।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ ছিল, ইউপি নির্বাচনে স্থানীয় প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনায় গত ৯ নভেম্বর হামলায় আহত কুদরত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২১ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মেজর মেহেদী বলেন, “জহিরুলের চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনার পর থেকে তৎপরতা শুরু করে র্যাব। পরে গোপন খবরে কক্সবাজার শহরের চাউল বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ইমাম খাইরকে গ্রেপ্তার করা হয়।“
জহিরুল ইসলাম হত্যার পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডে খাইর সরাসরি অংশগ্রহণ করে বলে র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।