মানহানির মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে গোপালগঞ্জের একটি আদালত।
Published : 14 Sep 2021, 11:37 PM
মঙ্গলবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরিফুল রহমান এই আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের সরকারি কৌঁসুলি দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৬৯/৪৭১/৫০০/৫০১/৩৪ ধারায় করা এই মামলায় রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম ও প্রকাশক সালমা ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের ২১ নেতা-কর্মী, গোপালগঞ্জ জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি দেলোয়ার হোসেন ও তার বাবা হাসেম সরদারের নাম উল্লেখ তাদের রাজাকার, পাকিস্তানের দোসর ও যুদ্ধাপরাধী বলেন।
আদালত সিআইডিকে মামলার তদন্তের ভার দেয়। দুই বছর এক মাস তদন্ত করে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রকাশক সালমা ইসলামের নাম মামলা থেকে বাদ দেয় সিআইডি। মামলার অন্য সব ধারা বাদ দিয়ে শুধু দণ্ডবিধির ৫০০ ধারা (মানহানি) রেখে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
ওইদিনই গোপালগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরিফুল রহমান বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তার বিরেুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ হয়।
মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন সরদার বলেন, “মুক্তিযদ্ধ চলাকালে সময় আমার বয়স ছিল ১০ বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়মী লীগের ২১ জন নেতা-কর্মীসহ আমি ও আমার পিতাকে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানের দোসর বলে রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করেন। পত্রিকায় দেখার পর আমি মামলা করেছি।”