গাজীপুরে স্থানীয় এক এনজিওর ‘ঋণ পরিশোধ করার পরও’ ব্যর্থতার অভিযোগে ছয় মাস বয়সী দুগ্ধপোষ্য শিশুর মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Published : 26 Jul 2021, 11:14 PM
সোমবার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলার বারতোপা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার শাহনাজ পারভীন বারতোপা এলাকার কাপড়ের দোকানি নুরুল আমীনের স্ত্রী। তার ছয় মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার বলেন, এনজিওর মামলায় আদালতের পরোয়ানা মূলে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। মেয়াদ শেষে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দাঁড়ায়।
নুরুল আমিন জানান, শাহনাজ প্রতি মাসের কিস্তি হিসেবে ৯ হাজার ৫০০ টাকা করে পরিশোধ করতেন। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে যথাসময়ে দুটি কিস্তি দিতে ব্যর্থ হন।
পরে এনজিওকর্মীর পীড়াপীড়িতে দুই মাস পরই ‘দুটি কিস্তি দিয়ে ঋণ পরিশোধ করেন’।
“এ সময় এনজিও আমাদের ঋণ পরিশোধের প্রত্যয়নও দেয়। যদিও পরে তারা আমার স্ত্রীর নামে মামলা করেন। এ মামলার বিষয়ে আমরা কেউ কিছু জানতাম না। হঠাৎ করে পুলিশ গিয়ে আমার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে গেছে।”
তাদের ছয় মাসের শিশু ফাতেমা তার মায়ের দুধ ছাড়া কিছুই খায় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিকেল থেকেই শিশুটি মায়ের জন্য কান্নাকাটি করছে’।
কালিয়াকৈর সার্কেলের এএসপি আল মামুন জানান, ওয়ারেন্টমূলে তাকে গ্রেপ্তারের পর আর ছাড়ার উপায় থাকে না। তাকে আদালতে পাঠাতেই হবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে আদালত।
“তবে থানা হাজতের ভালো কক্ষে বাচ্চাসহ যাতে উনি থাকতে পারেন, বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে পারেন তারজন্য ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি।”
ঋণদাতা এনজিও টিএমএসএসের শ্রীপুর-১ শাখার নবাগত ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম সাংবাদিকদের জানান, শাহনাজ পারভীনের কাছে তাদের কোনো পাওনা নেই।
তবে তার বিরুদ্ধে কেন মামলা হল তা বলতে পারেননি তিনি।
টিএমএসএসের গাজীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আতাউর রহমান এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে সরকারি আইনজীবীকে (জিপি) ঘটনাটি আদালতের নজরে আনার অনুরোধ করছি।”