লালমনিরহাটে ‘অসুস্থ রোগীকে জোরপূর্বক’ সদর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
Published : 08 Jul 2021, 07:16 PM
গত ২১ জুন এ সদর হাসপাতালে সৈয়দ সূফী মো. সৈয়দ সূফী মো. তাহেরুল ইসলাম ওরফে সূফী মোহাম্মদ (৪৬) ভর্তি হন। ‘শ্বাসকষ্ট ও কাশি থাকা অবস্থায় কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই পহেলা জুলাই তাকে এ ছাড়পত্র দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তার।
লালমনিরহাট শহরের আদর্শপাড়ার কদর উদ্দিনের ছেলে সুফী মোহাম্মদ সাংবাদিকতার পাশাপাশি একজন নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত।
তিনি বলেন, “কোনো চিকিৎসা ও পথ্য না পেয়ে বাধ্য হয়ে ২ জুলাই থেকে অসুস্থ শরীর নিয়ে বাসায় বাসায় রয়েছেন।” এখনও ‘মাঝে মাঝে তার জ্বর আসছে’।
ছাড়পত্রে ‘ডোর ডিসচার্জ অব রিকোয়েস্ট’ লেখা থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি বা তার পরিবারের কেউ ছাড়পত্র চাইনি। বরং সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়পত্র না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি ও তার পরিবার।
গত ৭ জুলাই তার ছাড়পত্রসহ ‘কোভিড রোগীদের চিকিৎসার অব্যবস্থপনা এবং ভোগান্তির বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন জায়গায় ই-মেইলে পাঠান তিনি।
তার অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, আইসোলেশন ওয়ার্ডে কর্তব্যরতরা পিপিই পরিধান করেন না। হাসপাতালের কেবিন পরিচ্ছন্ন করার জন্য পরিচ্ছন্নকর্মীদের টাকা দিতে হয়। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় ওষুধ-পথ্য বাইরে থেকেও কিনতে হয়।
এ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুল বাসেতকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
‘সরকারের দেওয়া করোনা গাইড লাইন অনুযায়ী তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সূফী মোহাম্মদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।”
অন্যান্য অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, পরিচ্ছন্নতা, করোনা চিকিৎসাসহ পাঁচটি বিষয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল দেশের মধ্যে ১৯তম এবং রংপুর বিভাগে প্রথম হয়েছে।
তিনি বলেন, রোগীদের মান-সম্মত খাবার দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবারের ছবি দিয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন সূফী মোহাম্মদ।
আবার জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সূফী জানান, পহেলা জুলাই তিনি কয়েকজন সাংবাদিককে মেসেঞ্জারে হাসপাতালের খাবারের ছবি পাঠিয়েছিলেন এবং ৩ জুলাই নিজে ফেইসবুকে তা পোস্ট করেছেন।