আদালতে ‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর হবিগঞ্জ আইনজীবী সমিতির এক সদস্যকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে সমিতি থেকে।
Published : 30 Jun 2021, 09:35 PM
হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল মনছুর বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে কুতুব উদ্দিন জুয়েল নামের এই আইনজীবী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অ্যাডভোকেট আবুল মনছুর বলেন, দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভায় অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন জুয়েলকে তথ্য জালিয়াতির ঘটনায় জেলা বার [আইনজীবী সমিতি] থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামছুল হকসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সমিতির সদস্যরা জানান, গত ৮ এপ্রিল মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্তর এলাকা থেকে ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মামুন ভূইয়া (৩৭) ও নবীর হোসেন (৩২) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের মাদক আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৭ মে আসামিদের আইনজীবী কুতুব উদ্দিন জুয়েল ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাসিম রেজার আদালতে তাদের জামিন প্রার্থনা করেন।
অ্যাডভোকেট আবুল মনছুর বলেন, জামিন প্রার্থনার সময় জুয়েল আদালতকে জানান আসামিরা ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে হাজতবাসে রয়েছেন। আদালত তখন হাজতবাসের সময় বিবেচনা করে তাদের জামিন মঞ্জুর করে।
জামিনপ্রাপ্ত আসামি মামুন ভূইয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁর গোয়ালদী গ্রামের হাবিবুর রহমান ভূইয়ার ছেলে ও অপর আসামি নবীর হোসেন নরসিংদীর মাধবদীর প্রয়াত নুর হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে আসামিদের আরেক আইনজীবী মিজানুর রহমান বলেন, “গত ১২ মে শুধু আসামি মামুন ভূইয়ার জামিন প্রার্থনা করি আমি। এ সময় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পবন চন্দ্র বর্মন তা নামঞ্জুর করেন।
“গত ২৩ মে আসামিদের স্বজনরা আমার কাছ থেকে মামলাটি অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন জুয়েলের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে ২৭ মে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামিদের জামিন মঞ্জুর করে।”
“জুয়েলের করা জামিন আবেদনে আসামিরা গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে হাজতবাসে রয়েছেন বলে মিথ্যা তথ্য উল্লেখ করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ১২ মে তারিখের নামঞ্জুরের নকল দিয়েই নাকি মিস কেইস করা হয়েছে। কিন্তু ১২ মে আমি শুধু একজনের জামিন প্রার্থনা করেছিলাম। দুইজনের জন্য সেই নকল দিয়ে মিস কেইস করার কোনো সুযোগ থাকার কথা নয়। এখানে স্পষ্ট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।”
এদিকে, অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন জুয়েল বলেন, “মূল নথিতে আসামিদের হাজতবাসের মেয়াদ দুই মাস ছিল; আমি সেই সময়ই উল্লেখ করেছি। কোনো ভুয়া তথ্য দেইনি। আদালত হাজতবাস বিবেচনা করেই জামিন মঞ্জুর করেছেন।”