তাদের ১০ জনের পজেটিভ ছিল আর অন্য দুইজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টার মধ্যে তারা মারা যান।
পরিচালক বলেন, ১২ জনের সাতজন পুরুষ আর পাঁচজন নারী। রাজশাহীর তিনজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়জন, নাটোরের দুইজন ও মেহেরপুরের একজন।
এ নিয়ে এ মাসে এই হাসপাতালে মারা গেছেন ১৩৭ জন। তার মধ্যে ৮০ জন মারা গেছেন শনাক্ত হওয়ার পর। অন্যরা মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ৩৩ আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ রয়েছেন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৬ জন।
তিনি বলেন, সোমবার সকাল ৬টায় কোভিড ইউনিটে ২৭১ বেডের বিপরীতে রোগী ছিলেন ৩০৭ জন। অতিরিক্ত রোগীদের জন্য অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর চাপ থাকায় আরেকটি ওয়ার্ডও তৈরি করা হচ্ছে। অক্সিজেন সুবিধাসহ নতুন ওয়ার্ডটি সোমবারই প্রস্তুত হয়ে যাবে। মঙ্গলবার থেকে সেখানে রোগী ভর্তি করার সম্ভাবনা রয়েছে।
শামীম বলেন, যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে শুধু তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। অন্যদের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পুরো হাসপাতালেও কোভিড রোগী রাখার জায়গা হবে না।
“রাজশাহী শহরে এখন লকডাউন চলছে। দুই সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়ন হলে সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।”