ঈদের ছুটি কাটিয়ে লকডাউনের মধ্যেই ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার কর্মজীবী মানুষ।
Published : 16 May 2021, 04:53 PM
রোববার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দূরপাল্লার বাসও চলতে দেখা গেছে।
পুলিশ বলছে, অনুমোদিত যানবাহন বাদে সকল বাস চলাচল বিকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে, রাস্তায় দূরপাল্লার বাস দেখলে ফেরত পাঠানো হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের আগে যেভাবে বাড়ি গিয়েছিলেন, সেভাবেই বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ ও ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলে চেপে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবীরা। অনেকের সাথে পরিবারের সদস্যরাও আছেন।
নির্ধারিত ভাড়ার কয়েক গুণ বেশি আদায় করা হচ্ছে এসব যানবাহনে। ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে নিম্ন আয়ের যাত্রীদের।
পণ্যবাহী গাড়িতে গাদাগদি করে যাত্রী পরিবহনের ফলে স্বাস্থ্যবিধির বালাই থাকছে না। মুখে মাস্কও দেখা যাচ্ছে না অনেকে।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছুটির সুযোগ নিয়ে অনুমতিবিহীন কিছু পরিবহনও যাত্রী নিয়ে ঢাকার পথে রওনা হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
মহাসড়কে বিধিনিষেধ প্রতিপালনে সিরাজগঞ্জে পুলিশের ৪২৫ জন সদস্য পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন বলে পুলিশ সুপার জানান।
বঙ্গবন্ধু সেতু থানার ওসি মোসাদ্দেক হোসেন দুপুরে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন সার্জেন্টরা মহাসড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। বিকাল থেকে থানা পুলিশও তাদের সাথে যুক্ত হবে। অনুমতিবিহীন কোনো যানবাহন মহাসড়কে চলতে দেওয়া হবে না।”
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি শাহজাহান আলী বলেছেন, হাসড়কে দূরপাল্লার বাস দেখলে তারা ফেরত পাঠানো শুরু করেছেন। তবে অন্য যানবাহনে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
দূরপাল্লার বাস চলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সিরাজগঞ্জ বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি মিজবাহুল ইসলাম লিটনও। তবে তিনি দুষছেন শ্রমিকদের।
তিনি বলেন, “দূরপাল্লার বাসে কর্মরত কিছু কিছু স্টাফ মহাসড়কে বাস নামিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু আমরা তাদের অনুমতি দেইনি। আর উত্তরাঞ্চল থেকে আসা বাসগুলো তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না।”