ভাঙ্গা থানায় হামলা: হেফাজত নেতা গ্রেপ্তার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জ সফরের দিন ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হামলায় পুলিশের করা মামলায় এক হেফাজত নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2021, 11:41 AM
Updated : 23 April 2021, 11:41 AM

শুক্রবার ভোররাতে শহরের পশ্চিম আলিপুর মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। তাদের সহায়তা করে ফরিদপুর সদর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আবুল হোসাইন (৬১) হেফাজতে ইসলাম ফরিদপুর জেলা সহ-সভাপতি এবং পশ্চিম আলিপুর মহল্লার প্রয়াত ওমেদ আলীর ছেলে।

আবুল হোসাইন জেলা শহরের চরকমলাপুর মাদ্রাসার মোহাদ্দেছ হিসেবে কর্মরত আছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ভাঙ্গা থানা পুলিশ জানায়, গত ২৭ মার্চ দুপুরে থানার অদূরে একটি মাদ্রাসা থেকে বের হওয়া একটি মিছিল অতর্কিত ভাঙ্গা থানায় হামলা চালায়।

এই ঘটনায় ভাঙ্গা থানার এসআই মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই বিকাশ মন্ডল বলেন, মামলার আসামি হিসেবে ফরিদপুর শহর থেকে আবুল হোসাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় এই পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

তিনি আরও জানান, আবুল হোসাইনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করা হবে। গ্রেপ্তার বাকি ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল হাজতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দুদিনের সফরে গত ২৬ মার্চ ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সফরের দ্বিতীয় দিন ২৭ মার্চ তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দিতে যান। এরপর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান ওড়াকান্দি মন্দির পরিদর্শন করেন।

ওইদিন ভাঙ্গা থানায় এই হামলাকে ‘পরিকল্পিত’ বলে উল্লেখ করেছিলেন ফরদিপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান।

ওই ঘটনার বিবরণ দিয়ে এসপি আলিমুজ্জামান বলেছিলেন, ২৭ মার্চ দুপুর সোয়া ২টার দিকে নামাজের পর ভাঙ্গা থানার কাছে জামিয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম ঈদগাঁ মাদ্রসা থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। এ মিছিলটি ভাঙ্গা বাজার ঘুরে বিশ্ব রোড এলাকায় যায়। পরে বিশ্বরোড থেকে ফিরে মিছিলটি ভাঙ্গা থানার কাছে ঈদগাঁ মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হয়।

মিছিলকারীরা ওই মাঠ থেকে লাঠি ও কাঠের বাটাম সংগ্রহ করে দুপুর সোয়া ২টার দিকে অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০ জন অতর্কিতে ভাঙ্গা থানায় হামলা করে।

হামলাকারীরা ভাঙ্গার থানার গেইট ভাংচুর করে। থানার ভেতরে ঢুকে দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা থানার দিকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মত ইটের টুকরো ছুড়তে থাকে।

পরে ব্যারাক থেকে পুলিশ এসে শর্টগানের ৪৫টি গুলি ছুড়ে ৪০ মিনিট পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।