শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে খুলনা নগর ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার অপর দুজন হলেন রাজু ও জাকারিয়ার ভাই শেখ মিল্টন। এই মামলায় এর আগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই রাতে খুলনা নগরীর ইস্টার্ন গেটের মশিয়ালী এলাকায় গুলিতে আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের মশিয়ালী গ্রামের প্রয়াত বারিক শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম (৬০) ও ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০) নিহত হন। গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম নামের আরেকজন পরে হাসপাতালে মারা যান।
এই ঘটনায় নিহত সাইফুল ইসলামের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা ডিবির পরিদর্শক এনামুল হক জানান, শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুর এলাকার ১৮ তলা একটি ভবন থেকে জাকারিয়া ও অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে খুলনা নগর ডিবি পুলিশ। তাদের খুলনা এনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
চলতি বছরের ১৬ জুলাই রাতে খুলনা নগরীর ইস্টার্ন গেটের মশিয়ালী এলাকায় গুলিতে নিহত হন আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের মশিয়ালী গ্রামের নজরুল ইসলাম ও গোলাম রসুল। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান, মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন। গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম পরদিন সকালে মারা যান।
গুলিতে হতাহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর পিটুনিতে জাকারিয়ার (প্রধান আসামি) চাচাত ভাই জিহাদ শেখ নিহত হন। এ সময় হত্যাকারী সন্দেহে কয়েকজনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে এলাকাবাসী।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
ঘটনার পরদিন ওই এলাকার সাবেক কাউন্সিলর মনিরা সুলতানা বলেছিলেন, মশিয়ালী আলিয়া মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ গুলি করলে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। উত্তেজনার এক পর্যায়ে ওই এলাকার জাকারিয়া, জাফরিন, কবির ও মিল্টন নামে চার ভাইয়ের বাড়ি ও দোকানসহ ১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করার পাশাপাশি আগুন দেয় এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, শেখ জাকারিয়া খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক ছিলেন। এই ঘটনার পরদিন তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়া জাকারিয়ার ভাই মিল্টন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এর আগে অন্য একটি হত্যা মামলায় তাকেও বহিষ্কার করা হয়।