নওগাঁয় আটক ঢাকার এসআই কারাগারে

নওগাঁর বদলগাছী থানায় গিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আটক পুলিশের এক এসআই ও তার ছেলেসহ পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নওগাঁ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2020, 06:23 PM
Updated : 3 Oct 2020, 06:23 PM

শনিবার বিকালে নওগাঁর আদালতে হাজির করা হলে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। তাদের একজন আদালতে স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন।   

শুক্রবার বদলগাছী থানায় গিয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ‘তক্ষক পাচারকারী আটকের কথা বলে’ প্রতারণার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।

বদলগাছী থানার ওসি জোবায়ের আহম্মদ জানান, এই পাঁচ জনের বিরূদ্ধে বদলগাছী থানায় প্রতারণা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা করেছে পুলিশ।

এরা হলেন ঢাকা রিজার্ভ পুলিশের এসআই ও পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দেউভোগ গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৪৬), তার ছেলে শফিউল কবির রকি (২৩), ছেলের বন্ধু ময়মনসিংহের তারাকান্দি উপজেলার বালিখা গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে সোহাগ (২১), জামালপুর সদর উপজেলার পাকুল্যা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে পারভেজ (৩৬) ও নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভগবানপুর গ্রামের ওবাইদুল কবিরাজ (৫০) ও তার স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৪৫)।

নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে ঢাকা রিজার্ভ পুলিশের এসআই গোলাম মোস্তফা তার ছেলেসহ ছেলের বন্ধুদের নিয়ে থানায় আসেন। বদলগাছী থানার ওসি জোবায়ের আহাম্মদের কাছে ডিবি পরিচয় দেন তারা। অভিযান চালানোর নামে থানা পুলিশের সহায়তা চাইলে ওসি জোবায়ের আহাম্মদের মনে সন্দেহ হয়। তখন তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। পরে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়লে তাদের আটক করা হয়।

আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ডিবির পোশাক ও হাতকড়া উদ্ধার করা হয় বলে আশরাফুল জানান।

তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে ছয় জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে এক নারীসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের ভাষ্য মতে বদলগাছী সদরের আব্দুল আজিজ প্রামানিকের ছেলে ওবাইদুল ইসলামের ভাড়া বাড়ি থেকে একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়েছে।

বদলগাছী থানার ওসি জোবায়ের আহাম্মদ বলেন, গোলাম মোস্তফা এর আগে নওগাঁ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বদলগাছী থানায় কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। নওগাঁয় থাকাকালে স্থানীয়দের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে।

“সেই সূত্রে তক্ষক বেচাকেনার প্রতারণায় জড়িয়ে পড়েন। আটকের পর গোলাম মোস্তাফা এটি স্বীকার করেছেন।”

তবে ডিবি পরিচয় দেওয়ার পেছনে অন্য কোনো বিষয় আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ওসি জানান।

তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের বিরূদ্ধে থানায় প্রতারণা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত তক্ষকটি বনবিভাগে হস্তান্তর করা হবে।