মাগুরায় দু’টি বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত

মাগুরায় দুইটি বাস ও একটি মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে মাগুরা-যশোর সড়কের মাগুরা সদরের মঘির ঢালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চাকলাদার পরিবহনের হেলপার যশোর সদরের রুপদিয়ার নূরুল আমিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৪০), নরসিন্দী সদর উপজেলার আ. মজিদ ভূঁইয়ার ছেলে ফখরুল ভূঁইয়া (৩৫), যশোরের শার্শা উপজেলার  মাহমুদুল্লার ছেলে নূর ইসলাম (৭০) ও যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার লিয়াকত মোল্লার ছেলে অরিফ মোল্লা  (৩৬)।

আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

২৫০ শয্যা  হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. অমর প্রসাদ জানান, প্রথমে ১৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

পরে ১৯ জনের মধ্যে তিনজনকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।

মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মাছুদ সর্দার জানান, দুপুর ২টার দিকে হাইওয়ে সড়কের মাগুরা সদরের মঘির ঢাল এলাকায় ঢাকা থেকে যশোরগামী চাকলাদার পরিবহন এবং একটি মাইক্রোবাসের সাথে যশোর থেকে ঢাকামুখী সোহাগ পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষ হয়।

“এ সময় চাকলাদার পরিবহনের বাসটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে গিয়ে এর চার যাত্রী নিহত হন। আহত হন উভয় বাসের কমপক্ষে ৩০ যাত্রী। তবে মাইক্রোবাসের কোনো যাত্রী হতাহত হয়নি”।

ডিএডি মাছুদ আরও জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। এ সময় তারা দুর্ঘটনা কবলিত চাকলাদার পরিবহনের চার যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন। যার মধ্যে তিনটি মৃতদেহ বাসের মধ্যে আটকে ছিল। আহত অবস্থায় আরও অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তারা মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠান। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাস্তার পাশে খাদে হাঁটুপানিতে উল্টো অবস্থায় পড়ে থাকা চাকলাদার পরিবহনের বাসটি  সোজা করে উদ্ধার অভিযান শেষ করেন।

সদর থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তর জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ সোহাগ পরিবহনের বাসটি হেফাজতে নিয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।