নারায়ণগঞ্জে সৌদি আরব-ফেরত এক ব্যক্তিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তার ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী।
Published : 28 Aug 2020, 12:27 AM
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাওসার আলম ও জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আফতাবুজ্জামানের পৃথক আদালতে এই তিনজন জবানবন্দি দেন।
এরা হলেন নিহত জামাল মিয়ার (৫৪) স্ত্রী শারমীন বেগম (৪০), মেয়ে সামিয়া আক্তার (২০) ও ছেলে তানভীন হাসান ডালিম (১৮)।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী পৃথক দুটি আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আদালতে নেওয়ার আগে তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, জামাল হোসেন দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। দেড় বছর আগে দেশে ফিরে আসেন। তিনি এক নারীর প্রতি পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। এ নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি হতো এবং তিনি স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে খাবারের সঙ্গে ১০/১২টি ঘুমের বড়ি খাওয়ান তারা। জামাল ঘুমিয়ে পড়লে স্ত্রী ওড়না দিয়ে বেঁধে ফেলেন এবং মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। পরে ছেলে-মেয়েরা উপর্যুপুরি আঘাত করে তাকে হত্যা করেন।
“হত্যার পর ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী মৃতদেহ পা ধরে টেনে বাথরুমে নিয়ে যান। পরে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে কমোড ভেঙে ফেলেন।”
তিনি বলেন, পরদিন কমোড থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে নাটক সাজান। সকালে ভাড়াটিয়াদের ডেকে লাশ দাফনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেন তারা।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ওসি আরও বলেন, স্ত্রী শারমিন আক্তার প্রথম তার ছেলে-মেয়েদের বাঁচানোর জন্য একাই খুন করেছেন বলেছিলেন। পরবর্তীতে তার ছেলে-মেয়েও হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় বাড়ি থেকে জামাল হোসেনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এরপর পুলিশ তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।