বন্যার পর মুন্সীগঞ্জে কপির চারা উৎপাদন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন চাষিরা।
Published : 19 Aug 2020, 03:24 PM
জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ জমি পানির নিচে থাকলেও চাষাবাদের চেষ্টা চলছে। উঁচু জমি বা বাড়ির আঙ্গিনা যেখানে জমি আছে সেখানেই চলছে আবাদের চেষ্টা। কেউ কেউ আবার পানির ওপর কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান ক্ষেত তৈরি করছেন।
সদর উপজেলার বণিক্যপাড়া গ্রামের খালেক মিয়া বলেন, “বন্যায় একদফা বীজচলা নষ্ট হইছে। আবার বীজতলা করছি। ভাগ্যে কী আছে জানি না।”
চাষিরা জানান, শীত আসন্ন। শীতের আগাম সবজি নিয়ে তাদের এই ব্যস্ততা। শীতের অন্যতম সবজি নানা রকম কপি। এই কপির চারা প্রচুর উৎপাদন হয় মুন্সীগঞ্জে। তাই তারা এখন কপির চারা উৎপাদন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
সদর উপজেলায় দেড় হেক্টর জমিতে কপির বীজতলা করা হয়েছে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহ আলম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “মুন্সীগঞ্জে কৃষকের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা দেখে আমরা অভিভূত। তারা এখন সব উঁচু জমি ও বাড়ির আঙ্গিনায় তৈরি করছেন এসব বীজতলা। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সবাই ফসল ফলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।”
“স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর এসব চারা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। রংপুর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষক অপেক্ষায় থাকে মুন্সীগঞ্জের চারার জন্য। ইতোমধ্যেই অনেকে কপির চারা কেনার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছেন।
এ জেলায় চার হাজার হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজির চারা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে তিনি জানান।