ঢাকার আশুলিয়ায় রান্নাঘরে ‘গ্যাসপাইপ থেকে বিস্ফোরণ’ ঘটে দগ্ধ হয়ে শিশুসন্তানসহ এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে।
Published : 08 Jul 2020, 05:20 PM
আশুলিয়ার দুর্গাপুর পূর্বচালা এলাকায় শহীদ মিয়া নামে এক ব্যক্তির দোতালা বাড়ির নিচতালায় বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে বলে আশুলিয়া থানার এসআই সামিউল ইসলাম জানান।
ঘটনাটি গত শনিবারের হলেও বুধবার পুলিশের কাছে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পারেন।
“প্রাথমিক তদন্তে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়টি জানা গেছে। তবে অধিকতর তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।”
নিহতরা হলেন ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার চণ্ডীপাশা গ্রামের আবুল কাশেম (২৮), স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২২) ও ছয় বছরের মাদ্রাসা ছেলে আল-আমিন।
কাশেম স্থানীয় কন্টিনেন্টাল নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। আর ফাতেমা একই এলাকার সাউদার্ন নামে অপর একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
কাশেমের মামা আজিজুল ইসলাম বলেন, “কাশেমসহ তার পুরো পরিবার অগ্নিদগ্ধ হয়েছে এমন খবর পেয়ে ছুটে আসি আমি। ততক্ষণে তাদের একটি অটোরিকশায় তুলে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাশেমের শিশু সন্তান আল-আমিন মারা যায়।
ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিসও জানে না।
সাভার ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর তাদের জানা নেই। কেউ কিছু বলেনি।
ওই বাড়ির প্রতিবেশী অটোরিকশাচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, “মাস তিনেক আগে আবুল কাশেম ওই বাসাটি ভাড়া নেন। শনিবার ভোরে বিকট শব্দে তাদের বাসাসহ চারপাশ কেঁপে উঠে আগুন ধরে যায়। আশপাশের লোকজন গিয়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা।”
ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক শহীদ মিয়া পলাতক রয়েছেন বলে এসআই সামিউল জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। এখনও মামলা হয়নি। নিহতদের স্বজনরা বুধবার মামলা করার জন্য এসেছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষে বাড়ির মালিক শহীদ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।