সিরাজগঞ্জে দলীয় কোন্দলে নিহত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় স্মরণে মিলাদকে ঘিরে সংঘর্ষ হয়েছে; এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
Published : 07 Jul 2020, 10:46 PM
মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে শহরের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফোরকান শিকদার বলেন, জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত স্মরণ সভা চলাকালে একাংশের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে ঢোকার সময় তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। ক্রমশ তা শহরের মেছুয়া বাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
“বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।”
টানা দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসসহ শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিহত এনামুল হক বিজয়ের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভা চলছিল।
“এ অবস্থায় স্থানীয় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক লোকজন নিয়ে মিছিল নিয়ে স্মরণ সভাস্থলে এসে হামলা চালায়।
“আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষেও বেধে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ২০/২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।”
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেন তিনি।
স্মরণ সভায় উপস্থিতি থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য বলেন, সেখানে জেলার সভাপতিসহ সিনিয়র নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এ অবস্থায় ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবীব খোকার নেতৃত্বে দুই-আড়াইশো লোকজন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে হামলা চালায়। যে কারণে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা বলেন, প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে দোয়া মাহফিলে যোগ দেওয়ার জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। আমরা প্রতিহত করতে গেলে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সংঘর্ষে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হকসহ অন্তত ১৫/২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।