ঝালকাঠিতে ধরা পড়ছে বড় ইলিশ, দাম হাজার টাকা কেজি

ঝালকাঠিতে মৌসুমের শুরুতেই ধরা পড়ছে বড় আকারের ইলিশ। তবে চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় দাম বেশি।

পলাশ রায় ঝালকাঠি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2020, 06:36 AM
Updated : 5 July 2020, 06:36 AM

রোববার সকালে জেলা শহরের পূর্বচাঁদকাঠি বাজারের জেলে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে এই চিত্র।

বাজার গিয়ে দেখা গেছে, দেড় কেজি আকারের ইলিশ খুচরা বিক্রি হচ্ছে পুরো দেড় হাজার টাকায়। ওজন আধা কেজির একটু বেশি হলেই তার দাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম গুনতে হচ্ছে হাজার টাকার বেশি।

মাছ বিক্রেতা মধু পাণ্ডে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা প্রধানত সুগন্ধা নদীতে মাছ ধরেন। কিন্তু এখন আগের মত বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে না। তাই মাছের সরবরাহ কম। আর সে কারাণে দাম একটু বেশি।

পূর্বচাঁদকাঠি বাজার ছাড়াও নদী থেকে সদ্য ধরে আনা ইলিশ বিক্রি হয় জেলার রাজাপুর, নলছিটি ও কাঁঠালিয়া উপজেলার বাজারগুলোয়। এসব উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে সুগন্ধা ও বিশখালি নদী। দুই নদীতেই ১২ মাস ইলিশ ধরা পড়ে।

রাজাপুর উপজেলার মানকী সুন্দর গ্রামের বিশখালি পারের জেলে নজর আলী বলেন, ঝালকাঠির মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের এবং বেশি ইলিশ পাওয়া যায় বিশখালি নদীর সাগর মোহনায়।

“এবার মৌসুমের শুরুতে চাহিদার তুলনায় কম ধরা পড়ছে। এ কারণে ভোলা ও বরিশাল থেকেও ঝালকাঠিতে ইলিশ আসছে।”

তবে ভোল-বরিশালের ইলিশ নোনা হওয়ায় ঝালকাঠির ইলিশের দাম বেশি বলে জেলেরা জানান।

ঝালকাঠি শহরের সুগন্ধা পারের জেলেপাড়ার মাছ বিক্রেতা কানাই লাল মালো বলেন, ভোলা ও বরিশাল সাগরের কাছে হওয়ায় ওসব জেলার ইলিশ লবণাক্ত স্বাদের।

“ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালি নদী সমুদ্র থেকে অনেক দূরে। তাই এখাকার নদীর পানি মিঠা স্বাদের। তাই এখানকার মাছও সুস্বাদু। তাছাড়া নদীপারে কল-কারখানা না থাকায় ঝালকাঠির ইলিশের স্বাদ সবচেয়ে বেশি।”

স্থানীয় ইলিশে চাহিদা মেটে না বলে ভোলা ও বরিশাল থেকে মাছ আসে ঝালকাঠিতে।

জেলা মৎস কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা বলেন, গত বছর ঝালকাঠিতে এক হাজার ৫৮ মেট্রিকটন ইলিশ ধরা পড়ে। এটা যথেষ্ট নয় বলে অন্য জেলার মাছও আসে।