নাটোরে একদিনেই ৩০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে; যাদের মধ্যে ২১ জন পুলিশ ছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক ও ইউপি সদস্য রয়েছেন।
Published : 19 May 2020, 06:01 PM
মঙ্গলবার সিভিল সার্জন সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা থেকে সোমবার রাতে বিষয়টি নাটোরের তাকে জানানো হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও বিলম্বে যে চার জেরায় রোগীর সন্ধান নাটোর তার একটি।
নাটোরের সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে সোমবার রাতে নাটোর থেকে পাঠানো ১৮৭টি নমুনার ফলাফল জানিয়েছে। এরমধ্যে ৩০টি পজিটিভ এসেছে, বাঁকিগুলো নেগেটিভ।
শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন সিংড়া উপজেলার। এছাড়া বড়াইগ্রামের ৯ জন, সদরের ৫ জন, বাগাতিপাড়ার ৩ জন ও গুরুদাসপুরের ১ জন রয়েছেন।
এ ১৮৭টি নমুনা গত ১১ থেকে ১৩ এপ্রিল সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।
আক্রান্তদের ২৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, শুধুমাত্র স্থানীয় এক সাংবাদিক সর্দি, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে আগে থেকেই সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
“বাঁকিরা তাদের বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। তাদেরকে প্রয়োজন মত চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া শুরু হয়েছে।”
সিভিল সার্জন আরও জানান, বড়াইগ্রামের গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনিও বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, সিংড়ায় আক্রান্ত ১২ জনের সবাই পুলিশ সদস্য। তাদের দুজন নারী কনস্টেবল।
এছাড়া বড়াইগ্রামে আটজন ও সদরে একজন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত রয়েছেন।
পজিটিভ শনাক্ত হওয়া পুলিশ সদস্যদের থানা ভবনের আশপাশের আইসোলেশন কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।