বিভিন্ন জেলা থেকে এসব খবর পাঠিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।
সাভারে ব্যাংক কলোনীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, “তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য তার বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়। অ্যাম্বেুলেন্স পৌঁছানোর পর জানা যায় আক্রান্ত এ নারী মারা গেছেন।
“শনিবার নমুনা সংগ্রহ করা নমুনার রোববার করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট আসে তার।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে নিয়ম অনুযায়ী তার দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ইতিমধ্যে নারীর মৃত্যু বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে সাভারে মৃত্যু সংখ্যা ৪ জনে দাড়িয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) ডা.ফেরদৌসী আক্তার বলেন, সাভার থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০৬৬ জনের। মোট করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৫৯ জনের।
হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৬৬ জন। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১৭জনকে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন এ ভর্তি আছে চারজন।
এছাড়া করোনা আক্রান্ত অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঢাকার দোহার উপজেলায় একদিনে নতুন করে ষোলো পুলিশ সদস্য ও আরেক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ জনে।
রোববার রাত সাড়ে ১২টায় দোহার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, রাতে পাওয়া পরীক্ষার ফলাফলে তারা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে দোহার থানার এএসআই দুইজন ও কনস্টেবল চৌদ্দজন। বাকি একজন উপজেলার ধূবলী গ্রামের এক চিকিৎসক বলে জানান ওসি।
তিনি জানান, আক্রান্ত ওই পুলিশ সদস্যদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তেমন কোনো লক্ষণ দেখা দেয়নি। তিন চারদিন আগে থানার দুই তিনজন পুলিশ সদস্যের হালকা জ্বর হয়েছিল। তারা সেরেও উঠেছিল। তারপরও পরীক্ষার ফলাফলে যেহেতু ওই পুলিশ সদস্যরা সংক্রমিত হয়েছেন সেহেতু তাদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।
থানার যে সব পুলিশ সদস্যরা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়নি, সুস্থ রয়েছেন। তাদের দিয়ে থানার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ওসি সাজ্জাদ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন জানান, রেবাবার নতুন আক্রান্তদের নিয়ে উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ জনে। মৃত্যু হয়েছে দুইজনের।
বরিশালে আরো ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ এ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ জন।
রোববার রাতে ৭ জন আক্রান্তের খবর জানান বরিশাল করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জনের মধ্যে ৩ জন বরিশাল নগরীর গোরা চাঁদদাস রোড, সাগরদী ও নাজির মহল্লা এলাকার বাসিন্দা। তাদের বয়স ৫২, ৩০ ও ৩৬ বছর।
অপর ৪ জনের মধ্যে ৩০ ও ৩৬ বছর বয়সী দুই ব্যক্তি উজিরপুর উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তি মুলাদী ও ৬৫ বছরের বৃদ্ধ বানারীপাড়া উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে রোববার আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
ফরিদপুরে তিনজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাব এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় এ পর্যন্ত ৫৯ জন করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হল।
রোববার যে তিনজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে বোয়ালমারী উপজেলাতে দুই জন এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আরো একজন শনাক্ত হয়েছে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মোট ২৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুরে নমুনা ছিল ১০৭টি।
“রোববারের পরীক্ষায় আরো তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ জন।”
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের পরিচালক মো. সাইফুর রহমান জানান, ফমেক হাসপাতালের ২২ করোনাভাইরাসের রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া বাকি রোগীরা বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি বলেন, জেলায় সাতজন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
ঝিনাইদহে ৬ চিকিৎসকসহ ১৫ জনকে করোনাভাইরাস মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার সকালে শহরের কেভিট-১৯ হাসপাতালে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাতজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে চারজন চিকিৎসক, দুইজন নার্স ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
তাদের হাতে সার্টিফিকেট, ফুলের তোড়া ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয় । এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম, পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুসহ স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, ঝিনাইদহ সদরে চারজন চিকিৎসক, দুইজন নার্স ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন ডাক্তার, একজন নার্সসহ ৬ জন, কোটচাদপুর ও মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুইজনকে করোনাভাইরাস মুক্ত হওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
জেলায় এ পর্যন্ত ৪৩ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়।
টানা ২০ দিন করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক যুবক। তিনি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব দৈলজোড় গ্রামের ছেলে।
অপর আরেকজন হলেন আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের স্টাফ নার্স। তিনি উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক কোয়াটারে পরিবারসহ বসবাস করতেন।
রোববার দুপুরে তাদের দু’জনকে ছাড়পত্র দেন আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর আরেফিন প্রধান কল্লোল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় প্রথম করোনায় শনাক্ত হন ওই যুবক। তাকে ২৮ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় ৷ তাকে সেবা দিতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন হাসপাতালের কর্মরত স্টাফ নার্সও।
আদিতমারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দু’জনকেই উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় আতিমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূর আরেফিন প্রধান, আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ এবং এদের ৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
নড়াইলে ১২০ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে সদ্য যোগদানকারী এক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নড়াইলের সিভিল সার্জন আব্দুল মোমেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ওই চিকিৎসকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
“তাকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।”
তিনি জানান, নড়াইলে এ পর্যন্ত ১৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে একজন চিকিৎসকসহ দুইজন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন এবং একব্যক্তি মারা গেছেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বাবু জানান, গত ১২ মে ১১ জন চিকিৎসক নড়াইলের ১২০ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে যোগদান করেন। ওই দিনই সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়।
এর মধ্যে এ নারী চিকিৎসকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনি ঢাকা থেকে নড়াইলে এসে যোগদান করেছিলেন।
শরীয়তপুরে আরো চার জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরা সবাই ঢাকা থেকে শরীয়তপুর এসেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের করোনাভাইরাসে ফোকাল পার্সন আবদুর রশিদ জানান, বর্তমান আক্রান্তদের মধ্যে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ১ জন, সদর উপজেলার রুদ্রকরে ২ জন ও পালং ইউনিয়নে ১ জন; এদের বয়স ২০ থেকে ৫৫।
আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন প্রতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছে।
এ নিয়ে জেলায় মোট ৭১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২২ জনকে সুস্থ ঘোষণার পর বাড়ি ফিরে গেছে। বাকিরা সবাই হোম আইসোলেশনে আছে।
শরীয়তপুর জেলা সিভিল সাজন ডা. আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, শরীয়তপুরে ২৪ ঘণ্টায় একজন চিকিৎসকসহ আরো ৪ জন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৭১জন শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন মারা গেছে। ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছেন।
গাজীপুরে আরও ৬৪ জনসহ এ পর্যন্ত মোট ৫৬০ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে বলে গাজীপুরের সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন বলেন, সর্বশেষ ৩৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট এলে গাজীপুরে নতুন করে আরও ৬৪ জনের করোনাভাইরাস পজেটিভ হয়েছে বলে জানা যায়।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত গাজীপুরে ৫ হাজার ৮৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে ২৯২ জন সদরে , কালীগঞ্জে ১০৫ জন, কাপাসিয়ায় ৭৮ জন, কালিয়াকৈরে ৫৫ জন, শ্রীপুরে ৩০ জনসহ মোট ৫৬০ জন কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।
জামালপুরে এক চিকিৎসকসহ নতুন করে আরো ১১ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১২৭ জনে।
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে জামালপুর সদরে একজন চিকিৎসকসহ ৩ জন, মেলান্দহে একজন স্বাস্থ্য কর্মী, একজন পল্লী চিকিৎসকসহ ৫ জন, এ ছাড়া সরিষাবাড়ি উপজেলায় ২ জন ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় ১ জন রয়েছে।
এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ১২৭ জনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন।
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ প্রণয় কান্তি দাস জানান, করোনাভাইরাসে জামালপুর জেলায় আক্রান্ত ১২৭ জনের মধ্যে ৫৪ জনই স্বাস্থ্য কর্মী। তাদের মধ্যে ১৩ জন ডাক্তার, ১১ জন নার্স রয়েছে।
ঝালকাঠিতে আরও দু’জনের দেহে নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন জেলার নলছিটি পৌর শহরের এবং অপরজন জেলার রাজাপুর উপজেলার বাসিন্দা।
এদিকে নলছিটিতে শ্বাসকষ্ট ও জ্বর কাশি নিয়ে এক পোশাক শ্রমিক গ্রামের বাড়িতে আসার তিনদিন পর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। ওই ব্যক্তি নলছিটি পৌর নাঙ্গ এলাকার ছেলে।
ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার জানান, শনিবার রাতে নতুন শনাক্ত দুজনের রিপোর্ট আসে।
অপরদিকে মৃত্য ব্যক্তির নমুনা গত শুক্রবার সংগ্রহ করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তিনি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন কিনা তা রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে বলে জানান ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার।
নলছিটির স্থানীয় স্কুল শিক্ষক ও সমাজ সেবক মিলন কান্তি দাস বলেন, মৃত নারায়ণগঞ্জের পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সে গ্রামের বাড়ি নলছিটিতে আসেন। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ও জ্বর-কাশি নিয়ে আসায় শুক্রবার আমরা স্বাস্থ্য বিভাগকে তাড়া দিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
“কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই এলাকায় আসার তিন দিনের মাথায় রোববার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হল “
রংপুরের ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে আরও ৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী ও দুই নার্স রয়েছেন।
রোববার দুপুরে করোনাভাইরাস মুক্ত ওই ৬ জনকে ছাড়পত্রসহ ফুলেল শুভেচ্ছায় বিদায় জানানো হয়। এ নিয়ে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে ৬জনসহ মোট ৩৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।
রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস এম নূরুন নবী বলেন, হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ৬ জনকে রোববার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই এখন শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। তাদের শরীরের নমুনার সর্বশেষ পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাদের মধ্যে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একজন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই নার্স, রংপুর কারুপণ্য লিমিটেডের জিএম, রাধাবল্লভ এলাকার একজন ও রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার একজন রয়েছেন।
এ নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে আরও ৩৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।