নতুন করোনাভাইরাসের হানায় দুই দেশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় বন্ধ থাকার ৩৮ দিন পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি হয়েছে।
Published : 30 Apr 2020, 11:31 PM
বৃহস্পতিবার বেনাপোল শুল্ক ভবনের কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিম হাসান বলেন, “বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বেনাপোল-পেট্রাপোলের লিংক রোডের শূন্যরেখায় ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশের ট্রাকে প্রথম পণ্য তোলা হয়।
এসব পণ্য চালানের মধ্যে ‘ভুট্টা, পাট ও মেসতা বীজ ছিল।’
এ পণ্য চালানের আমদানিকারক উৎস এন্টারপ্রাইজ এবং রপ্তানিকারক ভারতের বন্ধন এগ্রো। বন্দর থেকে চালানটি খালাস করানোর দায়িত্বে রয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট ডিএসইম পেসকো ও সোনারগাঁও এন্টারপ্রাইজ।
আমদানিকারক উৎস এন্টারপ্রাইজের মালিক উজ্জ্বল রায় বলেন, “৩৮ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় আমাদের পণ্য চালানটি ওপারে আটকে যায়। সময় মতো এ চালান খালাস করে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারলে লোকসান গুনতে হতো।”
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ওপারের কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ীদের সাথে বসে ‘বিশেষ ব্যবস্থায় দুটি পণ্যবাহী ট্রাক আনা হয়েছে।’
এ সময় উভয় দেশের কাস্টমস, বন্দর, বিজিবি, বিএসএফ, পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তালুকদার বলেন, “আমরা বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কিছু আমদানি পণ্য নিয়ে আসতে পেরেছি।
“এরপর আস্তে আস্তে আরও পণ্যচালান বৃদ্ধি পাবে।”
যারা সেখানে কাজ করছেন তাদের মাস্ক ও পিপিইর ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীরাও রয়েছেন বলে জানান তিনি।