গাজীপুরে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে হত্যায় গ্রেপ্তার তরুণ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন, যিনি আগের আরেকটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Published : 27 Apr 2020, 09:26 PM
গাজীপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মীর রকিবুল হক জানান, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরীফুল ইসলামের আদালতে ১৭ বছর বয়সী ওই তরুণ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এর আগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ ওই তরুণের বয়স ২০ বছর বলেছিল।
রোববার মধ্যরাতে শ্রীপুর আবদার এলাকা থেকে ওই তরুণকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ওই গ্রামেই তার বাড়ি।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে দেওয়া তথ্যমতে রক্তমাখা কাপড়, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার আবদার এলাকায় মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করা হয় বুধবার রাতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ তাদের ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় প্রবাসীর বাবা অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রোববার মধ্যরাতে আবদার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মা-সন্তানদের খুনের কথা স্বীকার করলে আদালতে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি নেওয়া হয়।”
জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে তাকে আবার তাকারাগারে পাঠানো হয় বলে পরিদর্শক হাফিজুর জানান।
“তার দেওয়া তথ্যমতে তার ঘর থেকে নিহতদের রক্তমাখা কাপড় ও মাটির নিচে চাপা দেওয়া অবস্থায় লুন্ঠিত দুইটি মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণের তিনটি গলার চেইন, কানের দুল, আংটি ও নাক ফুল উদ্ধার করা হয়েছে।”
এই তরুণের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় আগেও শিশু ধর্ষণ ও খুনের মামলা রয়েছে বলে হাফিজুর জানান।
“এই ছেলে ২০১৮ সালে একই এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে ছিল। নয় মাস পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়।”
শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, গত বুধবার রাতে আবদার এলাকায় নিজ বাড়িতে খুন হন মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। এ ব্যাপারে পরদিন প্রবাসীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। পিবিআই, র্যাবসহ পুলিশের তদন্তকারী একাধিক টিম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে করেছে।