গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
Published : 23 May 2024, 05:14 PM
কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার আশ্রয় শিবির থেকে এক রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন। যাকে আরসার শীর্ষ কমান্ডার বলেছে পুলিশ।
বুধবার গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আশ্রয় শিবিরের পাশে গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এডিআইজি মোহাম্মদ ইকবাল।
গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (৩২) উখিয়া উপজেলার ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৫১ ব্লকের মো. মোদাচ্ছেরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আটটি হত্যাসহ নানা অভিযোগে মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এডিআইজি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক মিয়ানমারের কয়েকটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। এসব সংগঠনের সদস্যরা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
“এদের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার শীর্ষ কমান্ডার আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে আটটি হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।”
তিনি বলেন, বুধবার বিকালে প্রযুক্তির সহায়তায় আব্দুল্লাহর অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে এপিবিএনয়ের একাধিক দল উখিয়ার ২০-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি বসত ঘরে অভিযান চালায়। সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
আব্দুল্লাহর শরীর তল্লাশি করে বিদেশি একটি পিস্তল ও দুটি গুলি পাওয়া যায়। এ ছাড়া তার বিছানার পাশে ঝুলিয়ে রাখা একটি ব্যাগে আরও একটি বিদেশি পিস্তল যাওয়া যায়।
গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৪ ও এস-১ ব্লকের সীমানার বাইরে লাল পাহাড়ে অভিযান চালানো হয় বলে জানান মোহাম্মদ ইকবাল।
অভিযানে পাহাড়ের ঢালু স্থানে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা দেশে তৈরি তিনটি বন্দুক, ২৪টি গুলি ও ২৩টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয় বলে জানান এডিআইজি।
গত ১৩ মে উখিয়ার ৪-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিপক্ষের হামলায় রোহিঙ্গা মাঝি মোহাম্মদ ইলিয়াছ হত্যার ঘটনায় আব্দুল্লাহ সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে দাবি এপিবিএনয়ের এই কর্মকর্তার।
আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ ইকবাল।