গাজীপুরে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান হত্যার আগে ‘ধর্ষণ’: পুলিশ  

গাজীপুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হত্যার আগে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে ‘আলামত’ পাওয়ার কথা বলছে পুলিশ।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2020, 06:56 PM
Updated : 24 April 2020, 06:56 PM

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শ্রীপুর থানার এসআই এখলাস ফরাজী সাংবাদিকদের একথা বলেন।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় জৈনা বাজারের আবদার এলাকায় এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করে অজ্ঞাত হামলাকারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ওই মালয়েশিয়া প্রবাসীর বাবা শ্রীপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

শ্রীপুর থানার এসআই এখলাস ফরাজী বলেন, “আলামত দেখে মনে হয় বুধবার রাতের কোনো এক সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই প্রবাসীর ইন্দোনেশিয়া বংশোদ্ভূত স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে ধারালো অস্ত্রে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। চার জনের দেহেই একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

তবে হত্যার আগে মা-মেয়েকে ধর্ষণ করার আলামত পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ঘরের ভেতর থেকে রক্তমাখা একটি বটি ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর সিআইডির ফরেনসিক ও ক্রাইম সিনের সাত সদস্যের একটি দল হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন আলামত জব্দ এবং মরদেহের সুরতাহাল করেছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ, পিবিআই ও র‌্যাব কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা এখনও উদঘাটন করা যায়নি। তবে ঘরে ডাকাতির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ঘরের আলমিরাসহ অন্যান্য জিনিস সুরক্ষিত ছিল। “এছাড়াও প্রেমঘটিত নাকি অন্য কোনো বিষয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশের একাধিক টিম।”

নিহতের প্রতিবেশী সেলিম উদ্দিন বলেন, “তাদের সাথে আমাদের সবসময়ই ওঠাবসা ছিল। তারা খুব আন্তরিক ছিলেন। ওই এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে প্রায় দেড় যুগ যাবৎ তারা বসবাস করছেন। তাদের কেউ খুন করবে এলাকায় কারো সঙ্গে এমন কোনো সম্পর্ক দেখা যায়নি।”

প্রবাসীর এক ভাগিনা বলেন, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে চার জনের মরদেহ তাদের নিজ জেলা ময়মনসিংহের পাগলা থানার গোলাবাড়ি গ্রামে দাফন করা হবে।