একটা সাঁকোই ৯ গ্রামের ভরসা

জয়পুরহাট সদর উপজেলায় নয়টি গ্রামের মানুষকে প্রায় অর্ধশত বছর ধরে একটি খাল পারাপার নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে এলাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মোমেন মুনি জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2020, 07:07 AM
Updated : 21 Jan 2020, 08:22 AM

সরকারি সব কাজের জন্য এসব গ্রামবাসীকে ওই সাঁকোটি পার হতে হয়। সবচেয়ে বেকায়দায় পড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। রাতে জরুরি যোগাযোগ দুরূহ হয়ে পড়ে।

গ্রামগুলো হল আমদই ইউনিয়নের মুরারীপুর, পাইকর, রাংতা, গোপালপুর, ঘোনাপাড়া, সন্দরপুর, পুরানাপৈল ইউনিয়নের পাইকপাড়া, গোবিন্দপুর ও গঙ্গা দাশপুর।

আমদই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবু ও পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সৈকত বলেন, এই নয় গ্রামে প্রায় ১৬ হাজার মানুষের বাস রয়েছে।

শাহানুর বলেন, সবচেয়ে বেকায়দায় পড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। রাতে জরুরি যোগাযোগ দুরূহ হয়ে পড়ে। তাই এখানে নিদেনপক্ষে একটি হাঁটাচলার ব্রিজ হলে এ দুটি ইউনিয়নের নয় গ্রামের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

স্বাধীনতার পর এসব গ্রামে জনবসতি গড়ে ওঠে বলে এই জনপ্রতিনিধিরা জানান।

এই সাঁকো পার হয়ে মুরারীপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে যায় এসব গ্রামের শিশুরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণবচন্দ্র মণ্ডল বলেন, শুধু এই স্কুলের শিক্ষার্থীরাই নয়, আশপাশের গ্রামগুলোর শত শত শিক্ষার্থী কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে। এছাড়া এখানকার সাধারণ মানুষজনকে সব সরকারি বা অন্যান্য দাপ্তরিক কাজের জন্য এই সাঁকো পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়। নয় গ্রামের মানুষের ওই একটি বাঁশের সাঁকোই ভরসা।

বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আখতার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, “পা পিছলে পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। বর্ষার সময় অনেকেই স্কুলে আসতে পারে না।”

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা, পঞ্চম শ্রেণির আভা মুনিসহ অনেক শিক্ষার্থী তাদের যাতায়াত সমস্যার কথা বলেছে।

স্কুল কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, বর্ষা মৌসুমে শিশুদের স্কুলে যেতে খুবই অসুবিধা হয়। এ সময় উপস্থিতি একেবারেই কমে যায়।

তিনি স্কুলের কাছে একটু সেতু দাবি করেছেন।

“তাহলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে। এ অঞ্চলের মানুষের চলাফেরায় সুবিধা হবে।”

এ ব্যাপারে জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীর সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

জয়পুরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এফএম খায়রুল ইসলাম বলেন, জনপ্রতিনিধি বা সর্বসাধারণ আবেদন করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন তিনি। তারপর অনুমোদন পেলে প্রক্রিয়া শুরু হবে।