মুন্সীগঞ্জের মেঘনায় ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের খোঁজ মিলেছে; উদ্ধার হয়েছে নিখোঁজ তিন শ্রমিকের মধ্যে দুইজনের লাশ।
Published : 18 Nov 2019, 03:58 PM
জেলার গজারিয়া কোস্টগার্ডের স্টেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট এমএম আসিফ জানান, গজারিয়া ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মাঝ নদীতে সোমবার বাল্কহেডটির খোঁজ মেলে। পরে জাহাজের ভেতর থেকে মো. আসলাম ও আব্দুল মান্নান নামে দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেন তারা।
রোববার ভোরে এমভি কীর্তনখোলা-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় এমভি নাদিয়া নামে একটি বাল্কহেড ডুবে যায়। এ সময় বাল্কহেডে ঘুমিয়ে থাকা তিন শ্রমিক মো. আসলাম, আব্দুল মান্নান (৬০) ও ইমদাদ মিয়া (৪০) নিখোঁজ হন।
লেফটেন্যান্ট এমএম আসিফ জানান, গজারিয়া ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মাঝ নদীতে নিখোঁজ বাল্কহেডের খোঁজ পাওয়া যায়। বাল্কহেডের ভেতরে কোনো মরদেহ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
“বাল্কহেডের ভেতর থেকে ব্যবহৃত মশারি পাওয়া গেছে। প্রায় ১০০ ফুট পানির নিচে বাল্কহেডটি পাওয়া যায়। ডুবুরিদের সন্ধান অব্যাহত থাকবে।”
তিনি জানান, উদ্ধার দুইজনের লাশ নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান সোমবারের মত শেষ করা হয়েছে। মঙ্গলবার আবার উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
বিআইডব্লিউটিএ-এর সদরঘাটের যুগ্ন পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, আগে নিখোজ শ্রমিকদের সন্ধান করা হচ্ছে। তারপর বাল্কহেডটি তোলা হবে। ডুবরিরা বাল্কহেডের ভিতর থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করেছে। সোমবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার নিখোঁজ একজনের সন্ধানে আবার উদ্ধার অভিযান চলবে।
গজারিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক আব্দুল রাজ্জাক জানিয়েছেন, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ মর্গে পাঠানো হবে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে চাইলে মামলা করতে পারে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবারকে লাশ বহন ও আনুসাঙ্গিক খরচ বাবদ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।
রোববার ভোর সোয়া ৫টার বরিশাল থেকে ঢাকার সদরঘাটগামী লঞ্চ এমভি কীর্তনখোলা-২ লঞ্চের ধাক্কায় ঘুমন্ত তিন শ্রমিকসহ গজারিয়া ঘাটের কাছে নোঙ্গর করা এমভি নাদিয় নামে একটি বাল্কহেড মেঘনায় ডুবে যায়। পরে সকালে ঢাকার সদর ঘাট থেকে লঞ্চটির চালক মো. শহিদুল ইসলাম এবং দুই মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন ও ইউনুচ ব্যাপারীকে আটক করে সদরঘাট বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।