ফেনীর কারাগারে কনডেম সেল না থাকায় নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ফাঁসির ১৬ আসামিকে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের কারাগারে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।
Published : 12 Nov 2019, 07:59 PM
ফেনী কারাগারের জেলার দিদারুল আলম বলেন, “এই প্রক্রিয়ায় প্রথম দিন মঙ্গলবার ১২ জনকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের পাঠানো হবে বুধবার।
“অন্যদের মধ্যে দুই নারী আসামিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং সিরাজ-উদ-দৌলা ও রুহুল আমিনকে পাঠানো হবে কুমিল্লা করাগারে।”
বুধবার নুসরাতকে যৌন নিপীড়ন মামলায় ফেনীর আদালতে শুনানির দিন রয়েছে। সিরাজ-উদ-দৌলা ও রুহুল আমিনকে ওই শুনানি শেষে পাঠানো হবে।
ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় ওই মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ১৬ জনকে গত ২৪ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড দেয় ফেনীর নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া আদালত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা (৫৭), নূর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), পৌর কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে সম্পা ওরফে চম্পা (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মাদ্রাসার সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)।
নুসরাত তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছিলেন। ওই ঘটনায় তার মায়ের করা মামলায় গত ২৭ মার্চ সিরাজ গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার পক্ষে নামেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ প্রভাবশালীরা। তার মুক্তির দাবিতে সক্রিয় হন মাদ্রাসার কিছু শিক্ষার্থী। মামলা তুলে নিতে ক্রমাগত হুমকিও দেওয়া হয় নুসরাতের পরিবারকে।
এরই মধ্যে ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষা শুরুর আগে কৌশলে নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পাঁচ দিন যন্ত্রণা সহ্য করে মারা যান দগ্ধ নুসরাত।