নড়াইলে এক নারীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর তার শিশুকন্যাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
Published : 22 Sep 2019, 10:42 PM
রোববার কালিয়া উপজেলার হাড়িডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মাহিমা (২) হাড়িডাঙ্গা গ্রামের মাহামুদ থান্দার ও তাছলিমা বেগমের (৩০) মেয়ে।
এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হলেও তার পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
তাছলিমা বেগমের অভিযোগ, তার স্বামী হাড়িডাঙ্গা গ্রামের ছাদিয়ার থান্দারের ছেলে মাহামুদ থান্দার সৌদি আরব থাকেন।
“পারিবারিক কলহের জের ধরে মাহামুদের ভাই শামীম থান্দারসহ পরিবারের লোকজন রোববার সকালে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় আমার একমাত্র শিশুকন্যা মাহিমাকে তারা রেখে দেয়।”
তাছলিমা বলেন, এ বিষয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে পুলিশ তাছলিমার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মাহিমার খোঁজ করে। কিন্তু ওই পরিবারের সদস্যরা মাহিমার খোঁজ দিতে না পারলে পুলিশ আশপাশে খোঁজা শুরু করে। এক পর্যায়ে পুকুরে মহিমার ভাসমান মরদেহ পাওয়া যায়।
এরপর মাহিমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাছলিমার অভিযোগ, তাকে তাড়িয়ে দিয়ে তার শিশুকন্যাকে শামীম ও তার পরিবারের লোকজন পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন।
কালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকরাম হোসেন বলেন, নির্যাতিত গৃহবধূ তাছলিমা বেগমের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তার শিশুকন্যাকে উদ্ধার করতে শামীমের বাড়ি গেলে বাড়ির লোকজন ওই শিশুর সন্ধান দিতে পারেনি। পরে পুলিশ তাকে পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করেছে।
“মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটিকে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
তাছলিমার অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।