বরগুনায় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি কারাগারে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন দপ্তরের চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান।
Published : 26 Jul 2019, 10:20 PM
হাবিবুর রহমান বরগুনা জেলা কারাগারের হাজতি ও কয়েদিদের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “মিন্নি ভাল আছেন। তেমন কোনো গুরুতর অসুস্থ নন। একটু শারীরিক ব্যথা-বেদনা থাকতে পারে। মানসিকভাবে কষ্টে আছেন। কিন্তু তেমন ভয়ের কিছু নেই। দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তিনি ভাল আছেন।”
হাবিবুর রহমান মাঝেমধ্যে কারাগারে চিকিৎসাসেবা দেন। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলেও হাবিবুর রহমানকে খবর দেওয়া হয়।
জেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “শুক্রবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে চিকিৎসক হাবিবুর রহমান ও উম্মে সোলায়মান তাহিরা কারাগারে যান। তারা ১৫ জনকে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দেন। তাদের মধ্যে মিন্নিও ছিলেন।”
কয়েক দিন আগে মিন্নির আইনজীবী মাহাবুবুল বারী আসলাম কারাগারে গিয়ে মিন্নির সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “মিন্নিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মিন্নি ভালভাবে হাঁটতে পারেন না। তার চিকিৎসা দরকার।”
এরপর মিন্নিকে মাথাব্যথার ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন জেল সুপার আনোয়ার হোসেন।
গত ২৬ জুন রিফাতকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার সময় স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নির চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে আলোচনার জন্ম দেয়।
পরে এ মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। কিন্তু রিফাত হত্যায় মিন্নি সম্পৃক্ত অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মিন্নি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তবে তার বাবার অভিযোগ, নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছে পুলিশ। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক হুমায়ূন কবীর।
এ মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত সাতজনসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে এখনও চার জন গ্রেপ্তার হয়নি।