শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর শহরের কাগমারার পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া এলাকায় লৌহজং নদীতে তার ভাসমান লাশ পাওয়া যায়।
গত সোমবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় শহরের নিজ বাসভবন থেকে বের হওয়ার পর তিনি আর ফিরে আসেননি।
টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি সায়েদুর রহমান বলেন, দুপুরে লৌহজং নদীতে এই আইনজীবীর ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
“পরে তার পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি হাসান আলীর বলে শনাক্ত করেন।”
হাসান আলীকে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
ওসি জানান, নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি জিডি করেছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা মিঞা মো. হাসান আলী রেজা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতাকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা সহ-সভাপতি ছিলেন।
প্রবীণ এই নেতার মরদেহ উদ্ধারের পর কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে তাকে জীবিত উদ্ধারের দাবি জানিয়েছিলাম; কিন্তু পুলিশ উদ্ধার করল তার মরদেহ। প্রশাসন গুরুত্ব সহকারে উদ্ধার তৎপরতা চালালে তাকে অবশ্যই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হতো।”