রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে কয়েকজন যুবক চাঁদা দাবি করেছে।
Published : 26 Mar 2019, 11:13 PM
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে ওই দুই শিক্ষার্থীকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আবু ইউসুফ সাজিদ এবং গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামারুজ্জামান সুমন।
আবু ইউসুফ সাজিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি ও সুমন বিনোদপুর বাজারের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় দুটি রুম ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট পড়ান।
“সন্ধ্যা ৭টার দিকে কয়েকজন যুবক এসে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে এখানে মাদক ব্যবসা করা হয় অভিযোগ তুলে আমাকে মারধর শুরু করে, মারধরের এক পর্যায়ে আমার মানিব্যাগ-মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।”
সাজিদ বলেন, “এরপর তারা ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আমার সহকর্মীকে টাকা নিয়ে আসার জন্য ফোন করতে বলে। আমি আমার সহকর্মী সুমনকে ফোন করি।”
এরপর সাজিদের বন্ধু কামারুজ্জামান সুমন সেখানে যান।
কামারুজ্জামান সুমন বলেন, “ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এখানে মাদক ব্যবসা করা হয় বলে তারা আমাকে নানা প্রশ্ন করে। পরে তারা তাৎক্ষণিক দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আমাকে আটকে রেখে সাজিদকে টাকা আনতে নিচে পাঠায়।”
সাজিদ বলেন, “আমি দোতলা থেকে নিচে গিয়ে এক বড় ভাইকে বিষয়টি জানালে তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই যুবকরা পালিয়ে যায়।”
সাজিদ আরও বলেন, যাওয়ার সময় দিনার নামের ওই নেতা একটি মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে যায় এবং টাকা এনে ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলে।
তারা দুজনেই তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তাই এ ঘটনায় দুজনই বুধবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন বলে জানান।
এদিকে, ওই ফোন নম্বরে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে এক দিনার নামের এক যুবক চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, “আজ আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল, তাই বাসা থেকে বের হইনি। এসব মিথ্যা অভিযোগ।”
তবে দিনার রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য বলে জানান।
ঘটনায় উপস্থিত মতিহার থানার এসআই সিদ্দিক হুসাইন বলেন, “ঘটনাটি শোনা মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। কিন্তু আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। এখন ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, “সাংবাদিকরা ঘটনাটি জানানো মাত্র আমি মতিহার থানা পুলিশকে অবহিত করি। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।”