মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মধ্য শহরে নদীর চরে এই অবস্থান অনশন কর্মসূচিতে বসেন সচেতন পাবনাবাসী।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ইছামিতি নদী রক্ষা আন্দোলনের সদস্য দেওয়ান মাহাবুব, ডা. আহম্মেদ তাউস লিংকন, অধ্যাপক দেওয়ান আজিজুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাওয়াল বিশ্বাস, রাশিদুর ইসলাম বিটুল, পাবনা পৌর কাউন্সিলর হাবিবুল হাসান রবিন, সাংস্কৃতিক কর্মী শিশির ইসলাম, মুক্তাদির রহমান প্রমুখ।
কর্মসূচি চলাকালে দুপুরে এই সঙ্গে একত্মতা প্রকাশ করেন পাবনা সদরের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
“এবার আমরা সরকারের কাছে একটি সুনিদৃষ্টি পরিকল্পনা পাঠিয়েছি। আমি আপনাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলতে চাই এবার ইছামতি নদী দূষণ আর অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে দখলমুক্ত করে এটিকে পরিষ্কার করা হবে।”
ইছামতি নদী খনন কার্যক্রম শুরু করে পাবনাবাসীর অনেক দিনের আশা পূরণ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
ঐতিহ্যবাহী এই ইছামতি নদী প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ, যার প্রায় ১১ কিলোমিটার নদী শহরের মধ্যদিয়ে পার হয়ে পদ্মার সঙ্গে মিশেছে। এই ইছামতি নদীকে ঘিরে এক সময় পাবনা শহরের ব্যবসাবাণিজ্য গড়ে উঠেছিল।
আন্দোলনকারীরা এ নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমস্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
কোনো ধরনের পদেক্ষেপ না এলে সামনে তারা ৭২ ঘণ্টার অনশনসহ আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাওয়ার হুমকি দেন।