জাবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ

‘পূর্ব বিরোধের জেরে’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এ সময় সংগঠনটির অন্তত ১০ কর্মী আহত হয়েছেন বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2019, 04:39 PM
Updated : 13 Feb 2019, 04:40 PM

বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান।

আহতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। তারা পাইপ, রামদা প্রভৃতি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে পাঁচ-ছয় রাউন্ড গোলাগুলিও হয়।”

অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার বিকালে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ ও তার স্ত্রী ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন। রাজিবের ক্যাম্পাসে আসার কথা জানতে পেরে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল তার অনুসারীদের নিয়ে রাসেলকে ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলেন। এ সময় তাদের মাঝে হাতাহাতি ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

এর জের ধরে সন্ধ্যার দিকে রাজিবের অনুসারী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হয়ে শহীদ সালাম-বরকত হলের সামনে গিয়ে চঞ্চলের অনুসারীদের ধাওয়া করে। পরে চঞ্চলের অনুসারীরা পাল্টা অবস্থান নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এতে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার কথা বললেও তাদের নাম পরিচয় কেউ বলতে পারেনি।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, “রাজিব আহমেদ রাসেল অতীতে বিভিন্ন সময়ে আমাকে লাঞ্ছিত করেছে। ছাত্রলীগের রাজনীতি নিয়ে প্রেশার ক্রিয়েট করার চেষ্টা করে। আমি বারবারই এসব না করতে নিষেধ করেছি। আজ সে ক্যাম্পাসে আসলে আমি তার সাথে দেখা করে নেতাকর্মীরা তার  উপর ক্ষেপে আছে জানিয়ে তাকে ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে অনুরোধ করি।

“কিন্তু সে অনুরোধ না শুনে উল্টো আমার সাথে বিতণ্ডায় জড়ালে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমি সেখান থেকে চলে এলে তার অনুসারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে।”

এ ব্যাপারে রাজিব আহমেদ রাসেল বলেন, “চঞ্চল তার অনুসারীদেরকে নিয়ে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করেছে। তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় নিয়োগ বাণিজ্যের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সংবাদ আমি করিয়েছি এমন ধারণা থেকেই সে আমার ওপর হামলা করেছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার বিচার চাইব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, “আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত থাকতে বলেছি। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্যাম্পাসে তিন প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে হলগুলোতে রেইড দেয়াও হতে পারে।”