বৃহস্পতিবার ভোরে আশুলিয়ার ইয়ারপুর এলাকার মুন্নার বাঁশ বাগানে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে আশুলিয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল হক ডাবলু জানান।
নিহত বাবলু হোসেন মুন্সী (২৮) বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার টেকনি মুন্সীপাড়া গ্রামের বাবর আলী মুন্সীর ছেলে। আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় পোশাক শ্রমিক মেহেদী হাসান টিপু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তিনি।
পরিদর্শক মনিরুল বলেন, “গত ১২ নভেম্বর নিশ্চিন্তপুর এলাকার পায়েহাঁটা সড়কের পাশ থেকে মেহেদীর সাত টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছিল বলে তদন্তে জানা গেছে।”
ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শম্পা বেগম বাবলুকে প্রধান আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় বাবুলকে বুধবার রাতে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ইয়ারপুর এলাকায় ‘তার সহযোগীদের অবস্থানের তথ্য দিলে’ পুলিশ তাকে নিয়ে সেখানে অভিযানে যায় বলে মনিরুলের ভাষ্য।
“মুন্নার বাঁশ বাগানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বাবুলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।পুলিশও জবাব দেয়।এক পর্যায়ে বাবুল গুলিব্ধি হয়।”
তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিন রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া গোলাগুলির সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।