হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Published : 27 Nov 2018, 06:33 PM
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার সুলতানশী গ্রাম ও পাশের হাতিরথান গ্রামের সংঘর্ষে ১৫ জন আর লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হন।
সদর থানার এসআই আবু নাঈম বলেন, সুলতানশী গ্রামের হাবিবুর রহমান ও পাশের হাতিরথান গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার মধ্যে এলাকায় অধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িতে পড়ে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
“এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য পাঁচজনকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”
ফুল বানু (৬০), নাজমা আক্তার (৩৭), কুদ্দুছ মিয়া (৩৫), শানু মিয়া (২৭), আজহার আলী (৫৫), কাজল মিয়া (৩৫), রেজিয়া খাতুন (৪০), ছবু মিয়া (৪০), রুমেল মিয়া (১৫), নাসিম মিয়াকে (২০) হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান এসআই আবু নাঈম।
আর লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রামের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন লাখাই থানার ওসি এমরান হোসেন।
তিনি বলেন, “লাখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেনের সঙ্গে অপর আওয়ামী লীগ নেতা মারাজ মিয়ার মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
“এর জেরে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পুলিশ গিয়ে ২০ রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে।”
আহতদের মধ্যে সাতজনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে তারা গ্রেপ্তার এড়াতে শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয় বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।