এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে জেলার কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ী, ধিরাইল ও সীতারামপুর গ্রামের কৃষকরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বেথুড়ী গ্রামের প্রভাবশালী সেলিম মোল্যা দীর্ঘদিন ধরে ওই তিন গ্রামের রামদিয়ার বিল, লক্ষ্মীডাঙ্গার বিল ও দক্ষিণডাঙ্গার বিলে তার নিজস্ব এবং সরকারি জমি থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ড্রেজার মেশিন দিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছেন।
কাশিয়ানী উপজেলার ধিরাইল থেকে সীতারামপুর গ্রাম পর্যন্ত চার কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সড়কে বালু সরবরাহ করতে তিনি বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বালু উত্তোলনে অনেক জমি ভেঙে পড়েছে। কিছু কিছু জমি দেবে গিয়ে ডোবায় পরিণত হয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলনে একশ বিঘা জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও শত শত বিঘা জমি হুমকির মুখে রয়েছে।
পরিবেশকর্মী বিধান ঠিকাদার বলেন, ভূগর্ভ থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে গভীর খাদের সৃষ্টি হতে পারে; যার কারণে ভূমি ধস দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
“পরিবেশের ক্ষতি করে ভূ-গর্ভ থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও অবৈধ।”
সেলিম মোল্যা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি আমার জমি থেকে বালু উত্তোলন করে ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করছি। এতে কারো ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। কিংবা অন্যের জমি ভেঙে পড়ছে না।
“এতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। কৃষকরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।”
কাশিয়ানী উপজেলার ইউএনও এএসএম মাঈন উদ্দিন বলেন, “বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি জানতে পেরে সেখানে লোক পাঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি।
“তবে পুনরায় বালু উত্তোলন করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”