রোববার মারধরের ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের প্রত্যাহার করা হয় বলে গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান।
এরা হলেন গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সার্জেট মো. ফিরোজ এবং কনস্টেবল শ্যামল দত্ত।
আহত মো. আলী হোসেন (৪৫) টঙ্গীর সাতাইশ ব্যাংকপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সোনালী ব্যাংকের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তিনি।
তাকে টঙ্গী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. জলিল বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা আলী হোসেন অফিসে যাওয়ার পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সাতাইশ রোডের মাথায় কর্তব্যরত সার্জেট মো. ফিরোজ এবং কনস্টেবল শ্যামল দত্ত তার রিকশাটিকে গতিরোধ করেন। এসময় রিকশা আর যেতে দেওয়া হবে না জানালে রিকশা চালক এবং দুই পুলিশ সদস্যের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
“এ সময় আলী হোসেন বলেন, ‘আমি রিকশা ভাড়াটা দিয়ে চলে যাচ্ছি, পরে আপনারা সরিয়ে দেন।’ একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তারা তাকে গালিগালাজ করে এবং উত্তেজিত হয়ে মারধর করলে আশাপাশের লোকজন ছুটে এসে দুই পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে।”
খবর পেয়ে টঙ্গী থানা পুলিশ ও অন্য ট্রাফিক পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নেয় বলে জানান তিনি।
তবে পুলিশ কর্মকর্তা সালেহ উদ্দিন বলেন, “ব্যাংক কর্মকর্তা রিকশা নিয়ে উল্টোপথে চলতে গেলে কনস্টেবল শ্যামল তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে শ্যামলের সঙ্গে তার প্রথমে কথাকাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি শুরু হলে সার্জেন্ট ফিরোজ এগিয়ে যান।
“কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে তিনিও বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে প্রত্যাহার করে গাজীপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।”