উপজেলার রাঢ়িপাড়া কাটা বটতলা এলাকায় সাইনবোর্ড-কচুয়া সড়কে মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে কচুয়া থানার ওসি মো. রবিউল কবির জানান।
আহত হাজরা ইশতিয়াক হোসেন বাহাদুর (৩২) কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এবং উপজেলার বাশারত হাজরার ছেলে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দিহিদার আলী হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোর পৌনে ৫টার দিকে বাহাদুর পরিবহনের একটি বাসে করে ঢাকা থেকে কচুয়ার সাইনবোর্ড এলাকায় এসে নামেন ইশতিয়াক।
“সেখান থেকে ব্যাটারি চালিত একটি ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে ৫/৬ জন দুর্বৃত্ত ভ্যান গাড়িটির গতিরোধ করে ইশতিয়াককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।”
পরে ওই ভ্যানের চালক এবং অন্য যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীরা গিয়ে ইশতিয়াককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে দিহিদার জানান।
ওসি রবিউল বলেন, ইশতিয়াকের হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কে বা কারা কি কারণে তার উপর হামলা করছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
তবে হামলাকারীদের সনাক্ত করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
এদিকে ইশতিয়াকের উপর হামলার প্রতিবাদে সকাল থেকে কচুয়া বাজারের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অভ্যন্তরীণ সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীরা।
কচুয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ঝুমুর জানান, ইশতিয়াকের হামলাকারী দের গ্রেপ্তারের দাবিতে কচুয়ার জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন এ যুবলীগ নেতা।