‘ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে’ চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠার পর ঝালকাঠি সদর থানার এক উপ-পরিদর্শককে (এসআইকে) প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।
Published : 03 Jul 2018, 05:29 PM
সোমবার রাতে সদর থানার এসআই মিঠুন দাসকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান জানান।
তবে তিনি এসআই মিঠুন দাসের প্রত্যাহারের কথা স্বীকার করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেননি।
এসপি জোবায়েদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রশাসনিক কারণে এসআই মিঠুনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এটা পুলিশের প্রশাসনিক কাজ মাত্র।
“সদর থানায় তার দুবছর দায়িত্ব পালন হয়ে গেছে। মিঠুনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা লিখিতভাবে দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত তাকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই ক্লোজ করা হয়েছে।”
গত কয়েকদিন আগে ঝালকাঠি পৌরসভার এক কর্মচারীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হয় ইউটিউব ও ফেইসবুকে। কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় ভিডিওটিসহ খবর প্রচার হয়।
ঝালকাঠি পৌরসভার সড়কের কাজে ব্যবহৃত রোলার চালক শরীফ ইয়াছিন আরাফাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১৪ জুন সন্ধ্যায় এসআই মিঠুনের সোর্স তাজুল সদর উপজেলার চামটা বাজারের কাছে তাকে ডেকে নেন।
“ওই সময় আমার পকেটে বেশ কয়েকটি ইয়াবা ঢুকিয়ে দেন তাজুল। কিছুক্ষণ পরেই ওঁৎ পেতে থাকা এসআই মিঠুন দাস দ্রুত এসে আমাকে আটক করে পাশের একটি ইটভাটায় নিয়ে যান।”
ইয়াছিন বলেন, পরে মাদক উদ্ধারের অভিযোগ তুলে তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি করেন মিঠুন। পরে তিনি তার মোটরসাইকেল বন্ধক রেখে এসআই মিঠুনকে এক লাখ টাকা দিলে রাতে তাকে ছেড়ে দেন।
এ ব্যপারে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ করার প্রস্ততি নিচ্ছেন বলেও জানান ইয়াছিন।
এ ব্যাপারে এসআই মিঠুন দাসের সঙ্গে কথা বলার জন্য বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
সদর থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন জানান, শরীফ ইয়াছিন আরাফাতের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় মাদক সংক্রান্ত কোনো মামলা নেই।